ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ও দুর্নীতির অভিযোগ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। গত ২৬ আগস্ট সি এন্ড এফ এ/ভো/১সি-৫/০৬৩ নং স্মারকে এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, ভৌগলিক কারণে ভোমরা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। যার কারণে দেশের আমদানিকৃত সকল পণ্যের মূল্যের উপর প্রভাব পড়ে। এই বন্দরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকার দূরত্ব অন্য বন্দরের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় পণ্যের দাম অনেক কম থাকে। কিন্তু এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত। অথচ ওই সেবার জন্য সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের দ্রব্য-মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাছাড়া আমদানিকারকগণও বিনাকারনে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে অন্য বন্দরে ব্যবসা স্থানান্তর করতে বাধ্য হচ্ছে। সার্ভিস না দিয়ে অধিক চার্জ নেওয়ার বিষয়টি হলো: লেবার বিল দুইবার পরিশোধ করা হচ্ছে। যেমন লেবার বিল বাবদ পাথরের ১টি ভারতীয় ট্রাকে গড় ৪০ মে.টন পণ্য আসলে আপনার দপ্তরে তার পূর্ণাঙ্গ বিল আমদানিকারক পরিশোধ সাপেক্ষে গাড়িটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়, প্রতি মে.টনে লেবার বিলসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সমস্ত সার্ভিস চার্জ বাবদ ৮৫ টাকা ৬৩ পয়সা করে কর্তন পূর্বক লেবার সরবরাহ করার কথা। কিন্তু টাকা কর্তনের পরও উক্ত লেবার সঠিকভাবে সরবরাহ না করায় আমদানিকারকগণ আবার পণ্যটি খালাস করার জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২ শত টাকা দিয়ে বাইরের লেবার দিয়ে আনলোড করতে হচ্ছে।
অথচ বাংলাদেশের অন্য কোন বন্দরে এমনটি দেখা যায় না। নাইট চার্জ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে, কিন্তু অন্য বন্দরে যেমন বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে নাইট চার্জ নেওয়া হয় না। তাছাড়া ভোমরা স্থলবন্দরে একটি ভারতীয় ট্রাক সন্ধ্যা ৭ টা প্রবেশ করলে নাইট চার্জ নিয়ে তাকে বন্দরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যা বিধি সঙ্গত নয়। প্রতি বছর সার্ভিস চার্জ বাবদ ৫% ট্যারিফ বৃদ্ধি পায় কিন্তু বেনাপোল বন্দরে প্রতি বছর ট্যারিফ বিল বৃদ্ধি পায় না, বিষয়টি একই দেশে দ্বৈতনীতির সামিল।
এসব অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে লেবার বিল একবার পরিশোধ করে পণ্য খালাস করতে পারি তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত। পণ্য প্রবেশের পরের দিন থেকে নাইট চার্জ কার্যকর করার ব্যবস্থা। বেনাপোল বন্দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর ৫% ট্যারিফ বিল বৃদ্ধি বাতিলকরণ করে আগামী ০৯সেপ্টেম্বর ১৯ এর মধ্যে উক্ত বিষয়গুলি সমাধান করতে হবে। অন্যথায় আগামী ০৪ সেপ্টেম্বর ১৯ তারিখে ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।