কলারোয়ায় দুর্নীতি ও স্বেচ্ছারিতার প্রতিবাদে হাজী নাছির উদ্দীন কলেজে মানববন্ধন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুর্নীতি ও স্বেচ্ছারিতার প্রতিবাদে হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ছলিমপুর হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা ছোট লিফলেট বিতরণ করে তার বক্তব্যে বলেন-অস্বচ্ছ ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করতে হবে,প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও কলেজের আয় ব্যায় সহ সকল দুর্নীতির সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে, কলেজের অতীত ঐতিহ্য ও সুনাম ফিরিয়ে আনতে সকল শিক্ষকদের নিদিষ্ট সময়ে উপস্থিত, পাঠদান ও সকল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, ছলিমপুর গ্রামের কলেজ হিসাবে অত্র অ লের সকল ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের মুল্যায়ন করতে হবে, কলেজের উন্নয়ন ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে এতদ্বাঞ্চলের সকল সম্মানিত মুরুব্বী ও দাতাদের সময় ও পরামর্শে যে কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের সবাইকে মূল্যায়ন, স্বর্তফুর্ত অংশ গ্রহণের সুযোগ ও মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে, অতিতে কলেজের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষার ফি ও বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের যে সুযোগ ছিলো তা বাস্তবায়ন করতে হবে, কলেজের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠাতার অংশ গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা আরো বলেন-দুর্নীতি মুক্ত কলেজ চাই, সঠিক সময়ে শিক্ষকের উপস্থিত ও পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে, অস্বচ্ছ ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করতে হবে, রিজার্ভ ফান্ডের টাকা গেল কৈ, তার জবাব দিতে হবে, পরীক্ষার ফি ও ফ্রমফিলাপ ফি বাড়তি কেন তার জবাব দিতে হবে, জালিয়াতী নিয়োগ বাতিল করতে হবে ও বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। এ বিষয় নিয়ে হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বলেন-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কলেজে এধরনের কোন কাজ হয় নাই। কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ জানান-কলেজটি নিয়ে একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্র করছে। তারা ছলিমপুর কলেজের দুর্নাম করে ভাল থাকার চেষ্টা করছে। তাছাড়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতা এনাম হক ওই কলেজর সভাপতি হওয়ার জন্য বহিরাগত লোকজন এনে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনের সময় কলেজর সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপের পরে কলেজে পাঠদান শুরু হয়।