শূকরের হৃদযন্ত্র ও কিডনি বসবে মানুষের শরীরে
অপেক্ষা আর বড়জোর তিন বছর। তারপরই মানুষের শরীরে বসবে শূকরের হৃদযন্ত্র ও কিডনি। এমনই দাবি ব্রিটিশ গবেষকদের।
অবশ্য শুধু ব্রিটিশ গবেষক নয়, বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানীই এমন দাবি করেছেন। তবে স্যার টেরেন্সের দাবি অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সবার কাছে। কারণ ৪০ বছর আগে তিনিই প্রথমবার মানুষের শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেছিলেন। তাই হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন দিবসে তার এমন বক্তব্য নিয়ে আপাতত তোলপাড় গোটা দুনিয়া।
তবে গবেষকদের মতে, মানবদেহে শূকরের কিডনি স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য হয়তো তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে না। টেরেন্স জানিয়েছেন, এবছরই মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি স্থাপন করা হবে। আর যদি তা সফল হয়, তাহলে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আশার আলো দেখছেন অনেকেই।
আর দেখবেন নাই বা কেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ ও শূকরের হৃদযন্ত্রের গঠন (অ্যানাটমি ও ফিজিওলজি) অনেকটাই এক। এই দুই প্রাণীর শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায়ও অনেকটা এক। সেই কারণেই শূকরের দেহাংশ মানুষের শরীরে সচল থাকার সম্ভাবনা প্রবল। শুধু এবার প্রমাণ হওয়ার অপেক্ষা। পরীক্ষা সফল হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে খুলে যাবে নতুন পথ।
অনেক সময় হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা নিয়ে নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরির সময় শূকরের হৃৎপিণ্ডকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর সম্প্রতি একটি নজিরও রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করছিলেন গবেষকরা। শূকরের উপর প্রাথমিকভাবে সেই চিকিৎসা করা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে সেই চিকিৎসা সফল হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিজ্ঞানীদের একটি দল হদিশ পেয়েছে একটি ছোট্ট জেনেরিক মেটেরিয়াল মাইক্রো RNA-199-এর। এটি হৃদযন্ত্রের কোনও ক্ষয় পুনর্গঠন করতে পারে।
ব্রিটেনে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সহজেই আঁচ করা যায় গোটা পৃথিবীতে এর সংখ্যা কত হতে পারে। এমন কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হলে চিকিৎসাজগতে যে এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।