মালয়েশিয়ায় ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় প্রবাসীকে জড়িয়ে মিথ্যা হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মালয়েশিয়ায় ছেলে নিখোঁজের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রবাসীকে জড়িয়ে মিথ্যা হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, পাটকেলঘাটা থানার ছোট কাশিপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক @ মধু ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পারিবারিক স্বচ্ছলতা ফিরাতে গত ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি মালয়েশিয়া যায়। সেখানে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে বিল্ডিং এর কনট্রাকশন কাজ করে আসছিলাম। গত ২০১৮ সালের অক্টোবরে আমার প্রতিবেশী মৃত বজলুর রহমানের পুত্র লিপটন বিশ্বাস ফোনে আমাকে জানায়, পাটকেলঘাটার খোর্দ্দ এলাকার কওছার আলী খানের পুত্র হযরত আলী খান মালয়েশিয়ায় কয়েকমাস যাবত নিখোঁজ রয়েছে। যদি পারেন সন্ধান নেওয়ার চেষ্টা করবেন। নিজ এলাকার সন্তান হওয়ায় আমি হযরতকে বিভিন্ন মাধ্যমে সন্ধান করতে থাকি। এক পর্যায়ে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের নওয়াখালী এলাকার এক বন্ধুর সাথে দেখা হলে, সে আমাকে বলে তোমাদের এলাকার একটি ছেলে জেলখানায় রয়েছে। তখন হযরত নিখোঁজের কথাটি আমি লিপটনকে বলি। তখন সে হযরতের পাসপোর্টের ফটোকপিটা পাঠাতে বলে জেল খানায় খোঁজ করার জন্য। আমি তাকে দিয়ে দুটি জেল খানায় খোঁজ করেও তাকে পায়নি।
এদিকে, হযরত আলীর মা আমার ফোনে বাংলাদেশ থেকে ফোন করে কান্নাকাটি করে তার সন্ধান করতে বলেন। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেও যখন তার কোন সন্ধান পায়নি তখন বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি অফিসে কর্মরত সেলিনা আক্তার শেলির কাছে যান হযরতের মা। শেলি আমাকে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ এ্যামবিসিতে গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। দ্বিতীয় বার শেলি কথামত সেখান গিয়েও তার কোন সন্ধান পায়নি।
এরপর গত ২৭ জুলাই ২০১৯ তারিখ রাতে আমি বাড়ি ফিরে আসি। পরদিন ২৮ তারিখ ভোরে হযরত আলীর মা সুফিয়া, লাভু খাঁ, ইব্রাহিম খাঁ, ইশারত খাঁসহ ১৫/২০ জন আমার বাড়িতে গিয়ে বলে হযরত কৈ ? তার সন্ধান না দিলে তোকে ধরে নিয়ে যাবো, রাস্তাঘাটে পাইলে খুন করবো, মিথ্যা মামলায় জেল খাটাবো বলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে তারা পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। থানা পুলিশ দুইবার মিমাংসা করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। এছাড়া গত ১৭ আগষ্ট সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে তার মা সুফিয়া। সেখানে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এছাড়া বিষয়টি মিমাংসার জন্য শফি শেখ ও মধু বিশ্বাসকে দিয়ে ৫লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা ভিত্তিহীন। যদি আমি হযরত নিখোঁজ হওয়ার সাথে জড়িত থাকবো, তাহলে দেশে ফিরে কেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবো ? প্রতিবেশি নিখোঁজ হওয়ায় আমি তাকে শুধু সন্ধানের চেষ্টা করেছি। অথচ তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে ওই ঘটনায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন। আমি ওই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আমাকে মিথ্যা ঘটনায় জড়িয়ে যারা হয়রানির চেষ্টা করছেন তাদেকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভাই আব্দুল কুদ্দুস, প্রতিবেশী রফিকুল বিশ্বাস, শেখ আলাউদ্দীন, আসাদুজ্জামান, আলমগীর হোসেন ও আতিয়ার রহমান।