কালিগঞ্জ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীরা যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীরা যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত। দেখবে কে এমন প্রশ্ন রোগীসহ স্বজন ও সচেতনদের। ঈদ উল আযহার আগে ও পরে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। রোগীরা হলেন (১) উপজেলার দঃ শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের মৃতঃ নুর ইসলামের পুত্র ঢাকার রাইজিন গার্মেন্টস এর কার্টারম্যান রিয়াজুল ইসলাম(৩১), আক্রান্ত ১২ আগস্ট দুপুরে, ভর্তি ১৪ আগস্ট, (২ য় তলায়)। ২) শ্রীকলা গ্রামের শেখ রমজান আলীর পুত্র মৌতলা শিমু রেজা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র মোখলেছুর রহমান(১৯)। আক্রান্ত ১২ আগস্ট, ভর্তি ১৪ আগস্ট (২য় তলায়)। ৩) মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামের শেখ মোরশেদ আলীর পুত্র হাসানুর রহমান (২২)। আক্রান্ত ১৩ আগস্ট, ভর্তি ১৫ আগস্ট, (২য় তলায়)। ৪) কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের জহুর আলী গাজীর পুত্র মনিরুল ইসলাম গাজী (৩৫), আক্রান্ত ১২ আগস্ট, ভর্তি ১৫ আগস্ট, ১ নং ক্যাবিনে। ৫) তারালী ইউনিয়নের সুক্তানন্দ ঘোষের পুত্র, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র সুমন কুমার ঘোষ। আক্রান্ত ০৮ আগস্ট, ভর্তি ১০ আগস্ট, ২ নং ক্যাবিনে। ৬) একই গ্রামের মনসুর আলী গাজীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৩৮)। আক্রান্ত ১১ আগস্ট, ভর্তি ১৩ আগস্ট, ৩ নং ক্যাবিনে। ৭) বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই গ্রামের সোয়েল উদ্দীন গাজীর পুত্র লাভলু গাজী (১৯), আক্রান্ত ০৯ আগস্ট, ভর্তি ১১ আগস্ট, ৪ নং ক্যাবিনে। ৮) তেতুলিয়া গ্রামের মাওলানা আব্দুল রাকিবের পুত্র ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আকিবুল হক (১৬), আক্রান্ত ১৪ আগস্ট, ভর্তি ১৫ আগস্ট, সাধারণ রোগীদের সাথে ১৯ নং বেডে।
কালিগঞ্জ হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নারে রোগীর বেডের স্বল্পতা, ডাক্তারের অভাব, জরুরী বিভাগে ডাক্তার না থাকা, নার্স দিয়ে কোন রকমে জরুরী বিভাগ চালিয়ে নেওয়া, ওয়ার্ড বয় দিয়ে জরুরী বিভাগে সার্জারী করানো, জেনারেল বেডে ডেঙ্গু এবং সাধারণ রোগীদের একসাথে রাখা। ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট পরীক্ষায় অনিয়ম সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনটা চিত্র দেখাগেছে ১৫ আগস্ট দুপুরে। প্রথম শ্রেণীর নার্স দাবীদার পুতুল রানী হাওলাদার ও রেহানা পারভীন রোগীদের জ্বর ও বিপি পরীক্ষা করলেও হদিস মেলেনী কোন চিকিৎসকের। ওদিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মারাত্মক জখমী রোগী থাকলেও দেখা যায়নি ডাক্তারের। উপায়ন্তর না পেয়ে হাসপাতালের মালী আব্দুল হান্নান উপজেলার গোয়ালপোতা গ্রামের আবু তালেব মোড়লের পুত্র শাহাজামানকে মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। তালাবন্ধ ছিলো কর্মকর্তা সহ রাঘোব বোয়াল বড় বাবুর রুমে।
এদিকে ডেঙ্গু রোগীদের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা, ডাক্তারের অভাব এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না থাকার কারণে অনেক রোগী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ১২ আগস্ট কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের পাশে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কথা স্বীকার করতে নারাজ কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান। তিনি সহ অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ ডেঙ্গু রোগীসহ সব রোগীদের যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী করেন।