অক্টোবরে ভাগ হচ্ছে কাশ্মীর
সংবিধানের ৩৫এ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে ভারত নিয়ন্ত্রীত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে দেশটির সরকার। এর সঙ্গে এটিকে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবনমন করা ও দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। আগামী অক্টোবরে কার্যকর করা হবে সেই সিদ্ধান্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৪তম জন্মবার্ষিকীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিখণ্ডিত হবে কাশ্মীর। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ এই দুই অংশে বিভক্ত করা হবে ভূ-স্বর্গ বলে পরিচিত রাজ্যটিকে।
গত সোমবার ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির আদেশে সংবিধানের ৩৫এ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার কথা জানিয়েছিলেন।
ভারতীয় সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদের বলেই জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা পেয়ে আসছিল।
৩৫এ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পাশাপাশি ওইদিন অমিত শাহ ‘জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল’ নামে নুতন একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলেন।
বিরোধী দলগুলার ঘোর আপত্তির পরও গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে ওই বিল পাস হয়।
লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর তা উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। সেখানেও বিলটি পাস হলে অনুমোদনের জন্য তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।
এনডিটিভি জানায়, শনিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ওই বিলে অনুমোদন দেন।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর আপাতত দুই জায়গায় দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর কেন্দ্র সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। জম্মু ও কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে, তবে লাদাখে তা থাকবে না।
যদিও জম্মু ও কাশ্মীর খুব বেশিদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকবে না বলে কাশ্মীরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি শিগগিরই সেখানে বিধানসভার নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের জনগণই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। সেখানে আগের মত মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে। ওই অঞ্চলে একবার শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এলেই জম্মু-কাশ্মীর আবারো পুরোদস্তুর রাজ্য হয়ে যাবে।”