ডেঙ্গু নিরসনে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমপি রুহুল হক
ডেঙ্গু নিরসনে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসাসেবা ও জনসচেতনার লক্ষে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
দেশে যখন ডেঙ্গুর মহামারি আকার ধারন করেছে, দেশের মানুষ যখন ভীত সন্ত্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ঠিক সেই সময় যাদের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়ীত্ব পালন করার কথা, সে সময় দেশ বাসীর পাশে না দাড়িয়ে অনেকেই জন সাধারণের বিরাগভাজন হয়েছেন এবং জনগণের মনকষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ঠিক সেই সময় সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পাশে যাচ্ছেন, তাদের চিকিৎসার সু ব্যবস্থা করছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, টিভি চ্যানেলে টক-শো করে জনসচেতনতা সৃষ্টি সহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের যাতে সুচিকিৎসা হয় সেজন্য সার্বক্ষণিক তিনি তদারকি করছেন।
মহামারি ডেঙ্গু আতঙ্কে যখন দেশ বাসী হতাশ হয়ে পড়েছে ঠিক সেই সময় ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান দিয়ে দেশ বাসীকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করেছেন এই সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নিজের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম, আয়েশ ত্যাগ করে দিন রাত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি হাসপাতাল ক্লিনিকে যে আকাশ ছোয়া উন্নয়ন তা দেখে মুগ্ধ সাবেক জাতিসংঘেরর মহাসচিব মিঃ বান কি মুন। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকালে ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার মান এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নতমানে পৌঁছে দেয়া ছাড়াও ডাঃ রুহুল হক মা ও শিশু মৃত্যুরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি পুরস্কার অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিনি মন্ত্রী থাকা কালীন সময়ে বাংলাদেশের শিশু মৃত্যুর হার স্বল্প সময়ে এতোটাই কমিয়ে ফেলেছিলেন যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত একটি রোল মডেলে পরিনত হয়েছিলেন। তাঁর মন্ত্রিত্বের সময়ে বিশেষ করে চিকিৎসকদের মানোন্নয়ন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সময় বন্ধ করে দেয়া দেশের ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন।
অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ অগনিত পুরস্কারে তাকে পুরষ্কৃত করেছেন। স্বাস্থ্য খাতে নিজের কর্ম গুনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন বার বার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকতে তিনি অগনিত হাসপাতাল নির্মান, বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, চিকিৎসা সেবার উন্নত সরঞ্জামাদি দেওয়াসহ চিকিৎসা সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে মানব সেবার অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন।
এছাড়াও তিনি সুদীর্ঘ কাল বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সফল সভাপতি ছিলেন। সেখানেও রেখেছেন সফলতার এক বিরল স্বাক্ষর। এবং বর্তমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসা পেশা যে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এক মহৎ পেশার নাম তা তিনি সততা, নিরলস পরিশ্রম ও নিজের মেধা দিয়ে প্রমান করে দিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর বহুদেশে অগনিত পঙ্গু মানুষকে নিজ হাতে সেবা দিয়ে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিয়ে তিনি যে মহত্তের পরিচয় দিয়েছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র কোন বিকল্প নেই বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।