জনকল্যাণে ঐতিহ্যবাহী মৌতলার গরুর হাট অবদান রাখছে
আসন্ন ঈদ-উল আযহা কে সামনে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলায় জমে উঠেছে গরুর হাট। ব্যাক্তি স্বার্থে নয়, জনকল্যাণে বেশ অবদান রেখে আসছে মৌতলা গরুর হাট। সেই সাথে যোগ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির তত্বাবধায়নে এই হাটের সুনাম চারি দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকারের সকল নিয়ম নীতি মেনে গরুর হাটের ডাক নিয়েছেন পরিচালনা কমিটি। তবে এবছর ভারতীয় গরু কম আসায় স্থানীয় গরু-ছাগলে ভরে গেছে হাটটি।
দেশিয় পশুর উৎপাদন পর্যাপ্ত থাকায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে এমনটা জানালেন, ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কোরবানির হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী। গরুর হাটের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও তথ্য প্রযুক্তিলীগের কর্মীদের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন।
এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলার বাড়তি নিরাপত্তায় থানা পুলিশ মোতায়েনসহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় পশু আমদানির উপর কড়াকড়ি আরোপ হওয়ায় খামারিরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু-ছাগলের খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে চাহিদার চেয়েও উৎপাদন বেড়েছে কোরবানির পশুর। ক্রেতারা বলেছেন, বাজারে পর্যাপ্ত যোগান থাকায় এবছর পশুর দাম তুলনামূলক ভাবে কম। সরেজমিনে উপজেলার মৌতলার পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশিয় জাতের ছোট বড় অনেক গরু ও ছাগল উঠেছে। গরুর হাট গুলোতে শংকর জাতের বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট আকারের দেশিয় গরুর চাহিদা অনেক বেশি। মুকুন্দপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ গাজী, জমাত আলী গাজী, পারুলগাছা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালী এ প্রতিনিধিকে বলেন।
কোরবানির ঈদের জন্য বছরজুড়ে পশু লালন পালন করে এ অঞ্চলের খামারিরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিনের কাছে পশুরহাট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের সিধান্ত মাফিক সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, ফলে কোন প্রকার ভারতীয় গরু কালিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারছে না। ব্যাপক নজরদারি ও তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কারণে উপজেলা এলাকার হাট গুলো দেশি গরুতেই জমে উঠেছে।
তাছাড়া গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাগন যাতে প্রতারিত না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে। শেষের দিকে পশুর হাট গুলো জমে উঠবে বলে দাবী করেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মনোজিত কুমার মন্ডল। মৌতলা পশুরহাটের ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন সম্পুর্ন নিয়মনীতি মেনে, স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় রেখে, জনগনের কল্যানে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী ভাইয়ের পরামর্শে পশুর হাট পরিচালিত হচ্ছে। এহাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে পাশ খরচ কমানো, যানবাহন ব্যাবস্থা, আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে সব প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত বছর পশুর হাটের লভ্যাংশ থেকে ২ লক্ষ টাকা ও বাজারের দোকান মালিক সমিতির নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান এবং তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর দেওয়া ১ লক্ষ ৫০ টাকা দিয়ে বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা সেট আপ করা হয়েছিল। মৌতলা হাট বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির এবারের ভাবনা সবাই কে নিয়ে ঈদের পরেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মৌতলা উন্নয়নে কি অবদান রাখা যাবে। উল্লেখ্য আগামী শুক্রবার (৯ আগষ্ট) ও রবিবার (১১ আগষ্ট) মৌতলায় পশুরহাট বসবে।