শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পারুলিয়ার পশুহাট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণয় জমে উঠেছে সাতক্ষীরার অন্যতম বৃহৎ দেবহাটার পারুলিয়া পশুরহাট। তবে এবছর সরকারী নির্দেশনায় সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ না করায় চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে দেশীয় গরুর। এতে করে আশানুরুপ দামে গরু বিক্রি করতে পেরে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে দেশীয় খামারীদের মধ্যে। অন্যদিকে জালটাকা ও প্রতারক চক্র ঠেকাতে রবিবার পারুলিয়া পশুরহাটকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ন্ত্রণ প্রায় দুই শতাধিক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীর পাহারার পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, বিজিবি সদস্যদের টহলের মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় বেশ নিরাপদে ও শান্তিতে গরু কেনাবেচা করতে পেরেছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এবছর তুলনামুলোক চাহিদা বেশী হওয়ায় দেশীয় গরুর দাম অনেকটাই বেশী হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ক্রেতারা। অন্যদিকে এবারের ঈদে কুরবানির জন্য মানুষ গরুর দিকে ঝুকে পড়ায় চাহিদার সাথে সাথে অনেকটাই কমেছে ছাগলের দাম। রবিবার পারুলিয়া পশুরহাটে সরেজমিনে দেখা যায়, নয় থেকে দশ মন ওজনের বেশ বড় আকারের গরুর মুল্য চাওয়া হচ্ছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। আর সাত থেকে আট মন ওজনের গরুর মূল্য দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা চাইছেন খামারীরা।
অন্যদিকে তিন থেকে সাড়ে তিন মন ওজনের গরু আশি হাজার থেকে এক লক্ষ টাকার মধ্যে থাকায় বেশিরভাগ মানুষ লাখ টাকার ভিতরে কুরবানির ক্রয়ে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন খামারী ও গরু ব্যবসায়ীরা। আর পশুরহাটটিতে দালাল, প্রতারক ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার সহ পশু ক্রয় বিক্রয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় না করায় সংশ্লিষ্ট ইজারাদার জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আলফেরদাউস আলফা সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সন্তুষ্ট দুর দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা। শুধু কুরবানির পশু নয়,রবিবার পারুলিয়ার এ পশুর হাট ঘিরে গার্মেন্টস সহ অন্যান্য সামগ্রীর দোকান গুলোতেও ছিলো সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কেনাকাটার উপচে পড়া ভিড়।