আশাশুনি প্রেসক্লাবে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতির সংবাদ সম্মেলন
খাল দখল, পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করা এবং নকশা পরিবর্তন করাসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিকার প্রার্থনা করে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হওেয়ছে। বুধবার বিকালে শোভনালী ইউনিয়েনের ৭নং ওয়ার্ড
আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাঁটরা গ্রামের মৃত ছহিল উদ্দিন সরদারের পুত্র আব্দুল জব্বার জানান, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে ‘আশাশুনিতে জব্বারের নির্দেশে পানি নিস্কাশনের খালটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় ৫ হাজার পরিবার’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করানো
হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সাল থেকে আওয়ামীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৩ সালে সরকার পতনের আন্দোলনে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তিনি মাঠে ছিলেন। তিনি দু’-দু’বার ইউপি সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ তাকে জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এবং বারোয়ানি নামক খাস খাল তার নেতৃত্বে ভাগ করার অভিযোগ করা হয়েছে। যা হাস্যকর। বরং খাস খালটি প্রয়াত ইউপি
চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মেম্বর থাকাবস্থায় নিজে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাহায্যে মাপজরিপ করে যেভাবে দিয়েছিলেন সেভাবেই আছে। সেখানে পানি বন্ধী হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়না। তাছাড়া আমার ঘেরের মধ্যে খাস খাল আছে বলে ষড়যন্ত্রমূলক কথা বলা হয়েছে। অথচ ১৬৫, ২৫৫ ও ২২০৫ দাগের জমি আমার ঘেরে নাই। ২২০৫ দাগের ম্যাপে যে নকশা আছে সরেজমিন তাই আছে। ১৯৯০ দশকের বঞ্চিত জমির মালিক
মালেক পাড়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে তাকে (জব্বার) প্রতিনিধিত্বকারী এবং ভূমিদস্যু বলে অপপ্রচার চালান হয়েছে। এ দাবীও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং উক্ত মালেক পাড়ই জামাতের রোকন এবং তার ছেলেরা জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দাবী করে তিনি বলেন, তিনি তার ওয়ার্ডের ভূমিহীনদের পক্ষে আওয়ামীলীগ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক সত্য তথ্য প্রচারের আহবান জানান।