সাতক্ষীরার সাংবাদিক গাজী ফারহাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা

বাদ প্রকাশের জের ধরে বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক গাজী ফারহাদ এর উপর হামলা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আশাশুনি উপজেলার বসুখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় ফারহাদের আম্মা হাবিবা খাতুন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি এজহার দায়ের করেছে।

এজহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে বসুখালী দাখিল মাদ্রাসার উপবৃত্তিধারী ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারার ঘটনায় সাংবাদিক ফারহাদ একটি ফেসবুক লাইভ ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। এ ঘটনাসহ পূর্বেও কিছু নিউজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সোলাইমান হত্যা মামলার আসামি (যায় নং-জিআর নং ২১২/১৭ (আশাঃ) শোভনালীর ইউপি সদস্য বসুখালী গ্রামের অমেদ আলী গাজীর

ছেলে ফারুক হোসেন গাজীরা ফারহাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। গত শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক ফারহাদ আশাশুনির বসুখালী বাজারে যায় এসময় তার সাথে তার বন্ধু বসুখালী গ্রামের মৃত জামাত আলী গাজীর ছেলে হামিদুল্লাহ বসুখালী সাইক্লোন সেন্টার এর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় দেখে যে, ফারুক হোসেন গাজী ফেন্সিডিল খাইতেছে। এই দৃশ্যটি ফারহাদ ক্যামেরায় ধারণ করে। উক্ত ঘটনাসহ পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র

করে ক্ষিপ্ত হয়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমার উক্ত ছেলেসহ তার বন্ধু হামিদুল্লাহ একত্রে বসুখালী বাজারস্থ লিটন এর মীম ভ্যারাইটি স্টোর দোকানের সামনে রাস্ত—া দিয়ে বাড়ী ফেরার সময় ফারুক হোসেন গাজী, তার ভাই আজিবর রহমান, আরিফুল ইসলাম গাজী, মোঃ কামরুল ইসলাম গাজী, অজিবর রহমানের ছেলে ইমরান, ফারুকের ছোট চাচা আফসার আলী গাজী, মৃত জিয়াদ আলী গাজীর ছেলে আব্দুল জলিল গাজী,

মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে ছামিউল্লাহ গাজী, আফছার গাজীর ছেলে রাকিব গাজীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসি স্টাইলে দলবদ্ধ ভাবে হাতে ধারালো রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, জিআইপাইপ, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় তৈরি মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়া সাংবাদিক ফারহাদ ও তার বন্ধু হামিদুল্লাহ কে পথরোধ করিয়া তাদেও সমস্ত শরীরে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারতে থাকে। সন্ত্রাসীরা হামিদুল্লাহকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো

চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় কোপ মারিয়া গুরুতর হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসিরা ফারহাদের ডিএসএলআর ক্যামেরা যাতে ‘ফারুকের ফেন্সিডিল খাওয়া অবস্থায় ডিডিও করার দৃশ্য ও মেরোরি কার্ড ও জামার পকাটে থাকা ৫ হাজার ৭শত টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। এয়াড়াও সন্ত্রাসি সন্ত্রাসিরা হামিদুল্লাহ এর পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা ৯,৫০০/- টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়।

এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে হামিদুল্লাহ এর ভাবী হালিমা খাতুন (২৮) ও নুর বানু খাতুন (২৬) ঘটনাস্থলে গেলে ফারুকগং তাহাদেরকেও কিল ঘুষি লাথি মারিয়া ফোলা জখম করে। তারা তাদের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় ফারুক হালিমা খাতুনের গলায় থাকা সোনার চেইন মেরে ছিড়ে নেয়। তাছাড়াও আজিবর গাজী নুর বানু খাতুন এর কানে থাকা সোনার দুল জোর পূর্বক কেড়ে

নেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে আশাশুনি থানার এ এস আই দেবাশীশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে ১টি জিআইপাইপ উদ্ধার করে। এবং ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করে পরে ফারহাদ ও তার বন্ধুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। ফারহাদ ও তার বন্ধু বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)