জেলায় বিকাশে লেনদেন বন্ধ রয়েছে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি:সাধারণ মানুষের হয়রানি
জেলায় বিকাশে লেনদেন বন্ধ রয়েছে প্রায় এক সপ্তাহের অধিক। বিকাশে জেলা পরিবেশক ওমর ফারুক চার কোটি টাকা আত্মসাত করে উধাও হবার পর থেকে বিকাশের সকল এজেন্ট লেনদেন বন্ধ রেখেছেন। জেলায় নতুন কোন পরিবেশকও এ সময়ে নিয়োগ দেয়নি বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
ফলে ব্যবসায়ী, বিকাশ এ্যাকাউন্টধারী সকল গ্রাহক পড়েছেন চরম বিপাকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। উপবৃত্তির টাকা তুলতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ভোগে রয়েছেন। ব্যবসায়ীরা লেনদেন করতে না পেরে তাদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিকাশ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এতে বিকাশের প্রতি সাধারণ গ্রাহকরা দিনে দিনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিকাশের সাধারণ গ্রাহকরা টাকা ক্যাশ আউট করতে গেলে এজেন্টরা ক্যাশ আউট করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। বিদেশ থেকে পরিবারের কাছে পাঠানো টাকা উত্তোলন করতে না পেরে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। শুধু তাই নয়, জেলা ও জেলার বাইরে থাকা স্বজনদের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে না পেরে অনেকেই পড়ছেন বিপাকে। বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করার জন্য দৈনিক পত্রদূতের হটলাইনে অনুরোধ জানিয়েছেন বিকাশের শতশত গ্রাহক। গ্রাহকরা তাদের অসুবিধা ও হয়রানির কথা বলতে গিয়ে উপরোক্ত ভোগান্তির বর্ণনা দেন। সাধারণ গ্রাহকরা এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করেছেন।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা টেলিকম ও মোবাইল ব্যাংকিং মালিক সমিতির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটর হাউজের স্বত্বাধীকারী ওমর ফারুক জেলার এজেন্টগণের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পরেও বিকাশের কোন কর্মকর্তা আমাদের সাথে যোগাযোগ বা আমাদেরকে আশ্বস্ত না করে নতুন ডিষ্ট্রিবিউটর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুরভিসন্ধিমূলক প্রক্রিয়া। এক্ষণে যারা ডিষ্ট্রিবিউটর হাউজ নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে বলতে চাই যে, আমাদের পাওনা টাকার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনাদেরকে ডিষ্ট্রিবিউটরের দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হল। যদি গ্রহণ করেন তাহলে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য সাতক্ষীরা জেলা টেলিকম ও মোবাইল ব্যাংকিং মালিক সমিতি কোনরূপ দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবে না।