জাল টাকা কিভাবে বাজারে ছাড়া হয় জানেন কি?
পবিত্র ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠছে অসংখ্য জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্র। গরু ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে প্রতিবছর কোরবানির ঈদে এরা সক্রিয় হয়। তবে এসব চক্রের বিরুদ্ধে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে লাখ টাকার জাল নোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। আটকরা হলেন, জালাল উদ্দিন, রিপন খান, মোছা. মনিরা।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, এক শ্রেণির প্রতারকচক্র কোরবানির পশুর হাটে লেনদেন করার জন্য জাল নোট বানাচ্ছে। জাল নোটগুলো দেখে আসল না নকল চেনা সাধারণ জনগণের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। জাল টাকা সিন্ডিকেটভিত্তিক, নিজস্ব পদ্ধতি, সাংকেতিক ভাষা ও ছদ্মনাম ব্যবহার করে বাজারজাত করে। জাল টাকা তৈরি থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে স্তরভিত্তিক লোক কাজ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক জালাল উদ্দিন জানান, জাল টাকা দুইভাবে মূদ্রণ করা হয়। ভালো মানের কাগজে আঁঠা ও সিকিউরিটি থ্রেড বসিয়ে ভাঁজ করা হয়। এরপর স্ক্যানার ও প্রিন্টিং মেশিনের সহায়তায় সূক্ষভাবে যে কোনো মূল্যের জাল টাকা তৈরি করা হয়। এছাড়াও ওয়াশ পদ্বতিতেও জাল নোট তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে আসল টাকার নোট ওয়াশ করে শুকানো হয়। পরে ওই নোটের ওপর টাকার অংক বসিয়ে ছাপ দেয়া হয়।
জালাল উদ্দিন আরো জানান, তিন ধাপে জাল টাকা বাজারে ছাড়া হয়। প্রথম ধাপে পাইকারি হিসেবে এক লাখ টাকার একটি বান্ডেল ২৫-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। দ্বিতীয় ধাপে পাইকাররা এসব টাকা খুচরা কারবারিদের কাছে ৪০-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। তৃতীয় ধাপে খুচরা কারবারিরা এসব টাকা নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি সুকৌশলে ঢাকার লালবাগের কেল্লা মোড়, বাবুবাজার, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড, আজিমপুর গোরস্থান, গুলিস্তান ও কামরাঙ্গীচরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।