আশাশুনিতে যৌতুক না পেয়ে স্বামীর নির্মম নির্যাতনে ইরানী হাসপাতালে
গরীব পিতা যৌতুকের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় মেয়ে ইরানীকে জামাই ও তার পিতা-মাতা নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। ইরানীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, আশাশুনি সদরের শ্রীকলস গ্রামের আঃ করিম সরদারের কন্যা ইরানী খাতুন (২২) এর সাথে আদালতপুর গ্রামের আঃ
হক মল্লিকের পুত্র মঈনুরের বিয়ে হয় ৪ বছর আগে। তাদের ৫ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় সামর্থ অনুযায়ী নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী মঈনুর তার পিতা ও মাতার কুপরামর্শে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। দিতে না পারায় নেমে আসে ইরানীর উপর শারিরীক ও মাসনিক নির্যাতন। বাধ্য হয়ে আঃ করিম মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মাঝে মধ্যে নগদ টাকা
দিয়ে আসছিলেন। এক পর্যায়ে টাকা দিতে না পারায় স্বামীসহ তারা ৩ জনে একাধিকবার মারধর করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করেন। সর্বশেষ ২০ জুলাই সকাল ৯ টার দিকে ২ লক্ষ টাকার দাবীতে ইরানীর উপর নির্মম নির্যাতন চালান হয়। হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কোপ মারলে কপালে লাগে এবং এতে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়ে ইরানী পড়ে যায়। এরপর তারা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন
স্থানে আঘাত করে। সিজারের স্থানে পা ডলা দিয়ে আঘাত করে। সংবাদ পেয়ে তার পিতা ও স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থানে উপস্থিত হলে তাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা না দেওয়া পর্যন্ত স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করবে না ছাফ জানিয়ে দিয়ে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে তারা অন্যদের সহযোগিতায় ইরানীকে উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে ইরানী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।