আশাশুনিতে ধর্ষক কর্তৃক ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি
আশাশুনিতে স্কুল শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
মামলার বিররণে জানা গেছে, কাঁটামারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক কাপসন্ডা গ্রামের ছহিল উদ্দীন মোল্যার ছেলে ফারুক মোল্যা (৫৫) তার স্ত্রী
অসুস্থ থাকার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ীর পাশে জনৈক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। উক্ত মহিলার বাড়ী যেতে হলে তাকে গোলাম মোস্তফার বাড়ীর উপর দিয়ে যেতে হয়। মোস্তফা দিনমজুর হওয়ায় তাকে প্রায় সময়ই বাড়ীর বাইরে কাজের সন্ধানে থাকতে হয়। তার একটি ছেলে পড়ার জন্য বাড়ীতে থাকেনা। ফারুক মোল্যাকে রাত-বিরাতে একা মহিলার (মোস্তফার স্ত্রী) বাড়ীর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে
নিষেধ করেন। এতে ফারুক মোল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ মে রাত ১১টার দিকে স্বামী-সন্তান বাড়ী না থাকার সুযোগে সুকৌশলে উক্ত গৃহবধূর (৩৭) ঘরে ঢুকে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিসের চেষ্টা করলে ফারুক মোল্যার অভিভাবক বা তার পক্ষের লোকজন তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা ১৪ মে আশাশুনি থানায় মামলা করতে গেলে থানাপুলিশ তাকে
আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ১৬ মে ধর্ষিতা বাদী হয়ে উক্ত শিক্ষককে আসামী করে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১৮৩/২০১৯ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর আশাশুনি থানায় ফারুক মোল্যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধে ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ আইনে ৩(৬) ১৯ নং মামলা রুজু করে থানা পুলিশ।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪ জুলাই সকালে উক্ত গৃহবধূর বাড়ীর সামনে ধর্ষক ফারুক মোল্যা তার লোকজন নিয়ে ধর্ষিতার স্বামী মোস্তফাকে মামলা তুলে নিতে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এতে ধর্ষিতার পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে প্রতিকার চেয়ে আদালতে অভিযোগ করেছেন স্বামী গোলাম মোস্তফা।