জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী বাঙলা সাহিত্যের বরপুত্র খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের । ২০১২ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে আজ কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। নূহাশ পল্লীর আশপাশের মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র, পরিবারের সদস্য এবং হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে।
নূহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আশপাশের কয়েকটি মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নূহাশ পল্লীতে কোরআন তেলাওয়াত করবেন।
পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় শরিক হবেন। এ দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন গতকাল নূহাশ পল্লীতে গেছেন।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজুর রহমান। মা আয়েশা ফয়েজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তথা ছাত্রজীবনেই তার লেখালেখি শুরু। ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশ পায়। তখন তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শংখনীল কারাগার’। এই দু’টি বই প্রকাশের পর হুমায়ূন আহমেদ একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে দেশের পাঠকমহলে সমাদৃত হন।
সেই থেকে জীবিতকালে তার দুই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়। হুমায়ূন আহমেদ দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার লেখায় এ দেশের তরুণ সমাজ ও জীবনধারার গল্পমালা ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে। গল্প বলায় ভাষার ব্যবহারে নিজস্ব একটা কৌশল এবং বর্ণনায় লোকজধারাকে প্রাধান্য দিতেন। বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে তাকে পথিকৃৎ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।