হু হু করে বাড়ছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পদ্মা নদীর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে গোয়ালন্দ উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যানরা জানান, উজানচর, দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও ছোটভাকলা ইউপির বিভিন্ন গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এখনো বেশির ভাগ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী না হলেও ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যার পানি। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
সভায় গোয়ালন্দ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেক জানান, এখনো পর্যন্ত বন্যার কারণে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হলেও উপজেলার চানখান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠ এরমধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও অনেকটা কমে গেছে।
গোয়ালন্দ ইউএনও রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার থেকে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। এখান থেকে প্রতিদিন দুইবার সর্বশেষ পরিস্থিতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় দেয়ার জন্য উপজেলার সব বিদ্যালয় খোলা রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জরুরি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এবিএম নুরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল ইসলাম তালকদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকীর, ছোটভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনসহ উপজেলা পর্যায়ের সবা কর্মকর্তারা।