কালিগঞ্জে হিন্দু পরিবারের পৈতৃকজমি জবর দখল ও মারপিট:উল্টো নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে পরিবারটি
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে হিন্দু পরিবারের পৈতৃক জমি জবর দখল, মৎস্য ঘেরে লুটপাট ও মারপিট ঘটনার ৯দিন অতিবাহিত হলেও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। উল্টো নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে ঐ পরিবারটি। প্রতিমুহূর্তে হুমকী ধামকী, মারপিট এর টানটান উত্তেজনা চলছে ঐ এলাকায়।জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক গোবিন্দকাটি গ্রামের মুকুল বিশ্বাস ও হারি সূত্রে ঘেরের মালিক থালনা গ্রামের নারায়ণ সরকার বিচারের দাবিতে নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
থালনার নারায়ণ সরকার ও গোবিন্দকাটির মুকুল বিশ্বাস বিভিন্ন পর্যায়, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা, কালিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ, কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা, জাতীয় হিন্দু মহাজোট বরাবর অভিযোগ করলেও এখনো বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে নারায়ণ সরকারের ঘেরের পানি তোলার কালভাটও আটকে দিয়েছে রেজাউল ইসলাম, মারুফা খাতুন ও শাহজাহান গং।যার ফলে প্রতিদিন ঘেরের পানি কমছে এবং মাছ মরছে। নারায়ণ সরকারের বক্তব্য আজ অবধি আমার একশ কেজি মাছ মারা গেছে। যা এলাকার মানুষ কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার ৯/০৭/২০১৯ তারিখ সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার থালনা গ্রামের হিন্দু পরিবারের জমি জবর দখল করে রেজাউল সরদার। এসময় শাহাজান সরদার এর ভাড়াটিয়া নুরুজ্জামান সরদার, খোরশেদ সরদার, নাজু সরদার, সহ ৪০/৫০জনকে নিয়ে আসে এবং ঘেরের মাছ লুটপাট করে।
পরদিন বুধবার ১০/৭/১৯ তারিখ সকালে রেজাউল সরদার ও মারুফা খাতুন জমি পাবে বলে উক্ত বাহিনী নিয়ে মৎস্যঘের ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাটকরে। ঘেরের মধ্যে দিয়ে বাধ দিয়ে জবর দখলে করেতে থাকে। বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন ও দেশ ছাড়ার হুমকি প্রদান করে। এমনকি তাদের কাজে বাধা প্রদান করলে জীবনে শেষ করে দেবে বলে দেশীয় অস্ত্র উচিয়ে ভয় দেখিয়ে দিনের বেলা প্রকাশ্যে মাছ লুট পাট করে নিয়ে যায়।
এঘটনার পার্শ্ববর্তী নারায়ণ সরকার বাদী হয়ে ১১/০৭/১৯ তারিখে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ০২ নং আদালত সিআরপি ৭৭/১৯ নং একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বিপত্তি সেখানে বেড়ে যায়। মামলার সাক্ষী আমজাদ হোসেন (৬০) কে অত্র ঘটনায় সাক্ষী প্রদান করবে একারণে ক্ষিপ্ত হয়ে সাক্ষী আমজাদ হোসেনকে আসামী রেজাউল, শাহাজান ও নুরুজ্জামান মিলে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। বর্তমানে মামলার অন্যান্য সাক্ষীদের ঐ মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদান করে যাচ্ছে। এমনকি সাক্ষী দিলে নারায়ণের মত অবস্থা হবে এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে হবে বলে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন রেজাউল ও শাহজাহান বাহিনী।
এব্যাপারে জমির মালিক মুকুল বিশ্বাস ও জমি হারি গ্রহণকারী নারায়ণ সরকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমাদের এ প্রতিবেদককে বিস্তারিত ঘটনা জানান। এসময় উপস্থিত জাহানারা খাতুন, আমজাদ হোসেন, সুপ্রিয়া সরকার, সহ একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।