সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ হাজার পরিবার
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সিলেটের ১৩ উপজেলায় ৪৮ হাজার ৭৬৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সাড়ে সাত হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ১৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সুরমা ও কুশিয়ারা নদির পানি বেড়ে ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জৈন্তাপুর, গোয়ানঘাট, কোম্পানীগঞ্জ। এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট সদর, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, জকিগঞ্জেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব অঞ্চলের তিন লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৫ জন মানুষ সবকিছু হারিয়েছে।
মীর মাহবুব বলেন, ১৩টি উপজেলায় ১৯০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকার শাহজালাল জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজে ৪৬টি পরিবার ও গোলাপগঞ্জের আমকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বাকি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রয়োজনে খুলে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বন্যা কবলিত য় উপজেলায় ৫৭ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। আরো এক লাখ ৫০ হাজার ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে। দুর্গতদের সহায়তায় ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ছয়শ মেট্রিক টন চাল, তিন হাজার কার্টন শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আসলাম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার উম্মে সালিক রুমাইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।