কালিগঞ্জে পরীক্ষায় নকল সহায়তার পিয়ন আটক:কথিত সাংবাদিক কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত
কালিগঞ্জ সরকারি কলেজে উম্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এইচ,এস,সি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার অভিযোগে কলেজের দপ্তরীকে নকলসহ আটক অতঃপর মুচলেকা দিয়ে রেহাই। অন্যদিকে কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আব্রহাম লিংকন নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীকে পরীক্ষার নিয়ে আসে। পরে ওই সাংবাদিক অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে ঘন্টার পর ঘন্টা অবস্থান করে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে তদারকী কর্মকর্তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামের সাথে পরীক্ষায় নকল বিষয়ে সমর্থন করে কথা বলায় পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম তাকে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যেতে বলায় কথিত ওই সাংবাদিক নিজেকে জাহির করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত উদ্দিনের সাথে মোবাইলে অসৌজন্য মূলক আচারন করে।
পরের দিন সাতক্ষীরার একটি দৈনিক পত্রিকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে জাড়িয়ে বিভ্রান্তি কর অসত্য সংবাদ প্রকাশ করায় পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র তদারকী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম নকলসহ কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের পিয়ন আব্দুল হামিদকে আটক করে। পরে আব্দুল হামিদ ক্ষমা চেয়ে ও মুচলেকা দিয়ে রেহাই পায়। এছাড়া আরো একজন পরীক্ষার্থীকে নকল করার অভিযোগে অধ্যক্ষের কক্ষে পরীক্ষার তদারকী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম শোনা বোঝা ও জিজ্ঞাসা বাদের সময় কথিত সাংবাদিক আব্রহাম লিংকন নকলের বিষয়ে সমর্থন করে তদারকী কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তখন তদারকী কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি কে এখানে কথা বলছেন কেন।
তখন সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় নিয়ে জাহির করলে অধ্যক্ষ কেন্দ্র সচিব পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলেন। এ বিষয়ে আব্রহাম লিংকন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত উদ্দিনের সাথে মোবাইলে কথা বলে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, আব্রহাম লিংকনের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালীতে। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোন সদস্য না। ধরন্ধর কথিত ওই সাংবাদিক পরীক্ষা কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহের জন্য আসেনি। তার স্ত্রী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঐ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে বিধায় অবৈধ সুযোগ নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষের কক্ষে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে। এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকদের কারণে সাংবাদিকতার মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।