কম্পিউটার প্রশিক্ষকের গালে থাপ্পর মারার জের, এখনও চলছে হুমকি ধামকি সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বদলী
সাতক্ষীরা জেলা (ভারপ্রাপ্ত) মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার আইজিএ প্রকল্পের কম্পিউটার প্রশিক্ষক আল-আমিন রহমানের গালে থাপ্পড় মেরে শাস্তি স্বরূপ বদলী করা হয়েছে খাগড়াছড়ির লামায়। এর পরেও থেমে নেই নাজমুন নাহার। আল-আমিনসহ তার পক্ষের মানুষদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং বলছেন তিনি বদলী হবোনা। যে ভাবে হোক এ বদলী আমি ঠেকাবো আল-আমিনকে দেখে নেবে। তার এ খুঁটির জোর কোথায় ? মহিলা প্রশিক্ষণার্থীদের সামনে একজন পুরুষকে থাপ্পর মারা মহিলা কেমন হতে পারে সচেতন মহলের আর চিনতে বাকি
নেই। স্বামী ব্যাংক ম্যানেজার আর তিনি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা (ভারপ্রাপ্ত) মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে আইজিএ প্রকল্পের কম্পিউটার প্রশিক্ষক আল-আমিন রহমানের গালে থাপ্পড় মারায় এবিষয়ে সুবিচার চেয়ে আল-আমিন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (০৩ জুলাই ) বেলা ১১ টার দিকে ওই অফিসে কর্মরত ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময়
মোবাইল ফোনে আল-আমিন ওই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর রাজিয়া সুলতানাকে ম্যাডাম বলায় ক্ষেপে যান নাজমুন নাহার। তার ক্ষিপ্ততা এতই প্রবল ছিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলা প্রশিক্ষণার্থীদের সবার সামনে গালে থাপ্পড় মারে আল-আমিনকে। এবং উচ্চস্বরে বলতে থাকে অফিসে একমাত্র ম্যাডাম নাজমুন নাহার আর কোন ম্যাডাম নেই। ঘটনা স্থলে উপস্থিত সকলে তার এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যায়।
এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে আল-আমিন বলেন, রাজিয়া সুলতানাকে ম্যাডাম বলায় তার গালে চর মেরেছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার। এজন্য সে সুবিচার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন,সারাদেশে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের বদলী করার জন্য একটি আদেশ জারী করা হয়েছে। সে অনুসারে তার ও বদলী হয়েছে তবে এখনো কোন অর্ডার আসেনি বলে জানান। তাছাড়া আল-আমিনকে সে কোন হুমকি প্রদানের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন