তুরস্কের সেরা শিক্ষার্থীর সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের রাশেদ
স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ (৪) পেয়ে তুরস্কে সেরা শিক্ষার্থীর সম্মাননা পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী।
তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের কাছ থেকে এই সম্মাননা ও বিশেষ উপহার গ্রহণ করেন। এ সময় উত্তরোত্তর একাডেমিক সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে তার মেধাশক্তিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি।
বুধবার (৩ জুলাই) তুরস্কের রাজধানী আংকারায় আয়োজিত তুর্কি স্কলারশিপ প্রাপ্তদের অষ্টম কনভোকেশনের আয়োজন করা হয়। এতে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুশওউলুসহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ অনেকে।
সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় উপজেলা কমলনগরের মাতাব্বর নগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আলী হোসেনের ছেলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেসিডেন্ট গোল্ড অ্যাওয়ার্ড, অনার্স ও মাস্টার্সে ডিন’স মেরিট লিস্ট অব অনার ও ডিন’স মেরিট লিস্ট অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন রাশেদ। ২০১৬ সালে তুরস্কের স্কলারশিপ নিয়ে আংকারা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
তিনি আংকারা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতোকোত্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে টানা দুইবার সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ-৪ (আউট অপড়ালেখার পাশাপাশি সাইয়েদ রাশেদ হাসান একাডেমিক লেখালেখির সাথেও জড়িত আছেন। এখন পর্যন্ত রাশেদের গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে তুরস্ক, ব্রিটেন, জার্মানি, সাইপ্রাস, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং হাঙ্গেরির বিভিন্ন জার্নালে।
ইউরোপের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সেও নিজের গবেষণা প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে জার্মানির শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসে (ডাড-২০১৮) সামার প্রোগ্রামে তিনি জার্মানির এর্ফুর্ট ইউনিভার্সিটিতে গবেষনা প্রোগ্রামে অংশ নেন।
২০১৭ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর তুরস্কের খিরশেহিরে ‘ওসমানি সালতানাতের ধর্মীয় ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকও অর্জন করেন লক্ষীপুরের এই কৃতি সন্তান।
রাশেদ হাসান বলেন, আমার এই সাফল্য আমার আব্বু-আম্মুর জন্য উৎসর্গ করেছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।
এদিকে রাশেদের এমন সফলতায় খুশি পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। তারা রাশেদের জন্য জেলা ও দেশবাসীর দোয় কামনা করেছেন।