মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়া পল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারো বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি বিজয় নগর মোড়ে পৌঁছলে সেখানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী।
বক্তব্যে রিজভী বলেন, বর্তমান মধ্যরাতের ভোটের সরকার জনগণকে কষ্টে ফেলতেই ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আওয়ামী সরকার জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তিতে বিশ্বাসী। তাই জনগণের ওপর জুলুম করতে তারা দ্বিধা করে না। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে বিশ্বাস করে বলেই এরা জনগণের ভালো-মন্দ বিচার করে না। জনগণের ওপর জুলুম ও শোষণ-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুটপাট করাই এদের একমাত্র লক্ষ্য। আর এজন্যই জনগণের রক্ত চুষতে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যাচ্ছে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকার।
এখন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে। জনগণের ওপর নিপীড়ণ চালিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জনের দ্বারা সরকারের লোকদের পকেট ভারী করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে জনগণের কাঁধে চাপানো হলো গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ভারী বোঝা। আমরা সরকারের এই বেআইনী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কার্যকর না করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, সরকার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও দীর্ঘ মেয়াদে অবৈধ ক্ষমতা ভোগ করতেই এ দেশের গণমানুষের আস্থাভাজন ও সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১০ মাস আগেই মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রেখেছে সরকার। যেকোনো মুহূর্তে জনতার ঢেউ রাস্তায় উত্তাল হয়ে উঠবে। মধ্যরাতের ভোটের সরকার বলেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে মাটিচাপা দিয়ে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু জনগণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর এই অলীক স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, নবী উল্লাহ নবী, মোশারফ হোসেন খোকন, মীর হোসেন মীরু, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, মোঃ ফারুক, সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ আলী চায়না, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের গোলাম মাওলা শাহীন, শ্রমিক দলের সুমন ভুঁইয়া, লোকমান হোসেন ফকির, তাইজুদ্দিন আহমেদ তাইজু, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মো: হাশেম, আব্দুল আজিজ, আব্দুল কাদের, মো: ইব্রাহিম, মো: সেলিম, ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, জাহিদ হোসেন নোয়াব, রফিকুল ইসলাম স্বপন, ছাত্রদলের মো: জাকির হোসেন, ওমর ফারুক কাওসার, বাপ্পী হাসান প্রমুখ।