পাটকেলঘাটা বাজার অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন
সাতক্ষীরা জেলার সর্বাধিক বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত ঐতিহ্যবাহী পাটকেলঘাটা বাজার। কালের বিবর্তনে সব কিছুর পরিবর্তন ঘটলেও এই বাজারের দুর্ভোগগুলো যেন বরাবরই রয়ে গেছে। উন্নয়নের ছোঁয়া বলতে খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে বলে কেউ বলতে পারবেও না। অথচ এই বাজার থেকে সরকার বছরে কোটি টাকার রাজস্ব কামাই করে থাকে। জেলা প্রশাসন আর সরকারি তহবিল যেটাই বলি না কেন কেউ যেন এ বাজারটির দিকে কর্ণপাত করেন না।
অনেকের অভিমত রাজনৈতিক মতাদর্শ, গ্রুপিং আর রেষারেষির কারণেই থমকে আছে দীর্ঘদিনের উন্নয়নের ছোঁয়া। মাঝে মধ্যে স্থানীয় ইউপির সহায়তায় ড্রেনেজগুলো পরিষ্কার করতে দেখা মিললেও আয়তনের দিকে থেকে বৃহৎ হওয়ায় সব ড্রেনেজগুলো সাফ করতে দেখা মেলে না। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ আর অভিভাবকহীন বাজারটি যেন কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে। অল্প বৃষ্টিতে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক টাওয়ার রোড, ডাকবাংলো রোড, পল্লীবিদ্যুৎ রোড, থানা রোড, হাইস্কুল রোড সহ প্রায় সকল সড়কগুলোতে জলমগ্ন রয়ে যায়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাসনের সুব্যবস্থা না থাকায় মাটিতে কিংবা রোদ্দুরে শুষে নেয়া ছাড়া সরানোর কোনও ব্যবস্থায় যেন নেয়। তার উপর ডাংবাংলো রোডে হাটু সমান পানি জমে পচা দুর্গন্ধে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
নাকে কাপড় দিয়ে কেউ যেন এ সড়কে আসতে চান না। ফলশ্রুতিতে দোকানীদের বেকার বসে থেকে হাজার হাজার হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয়। এদিকে দু একটি সড়কে বছরের পর বছর নাজুক অবস্থা ভোগের পর নিজেদের টাকায় স্বেচ্ছা শ্রমের বিনিময়ে মাটি বালি দিয়ে কিছুটা হলেও ভরাট করে নিয়েছেন স্থানীয় দোকানীরা। স্থানীয় দোকানী ও পথচারীদের অভিযোগ বাজারের একজন অভিভাবক থাকলে আজকের এ দৈন্যদশা দেখতে হতো না। অনেক আগেই এগুলো নিষ্পেষিত করা সম্ভব হতো।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনেক আশার বাণী শোনালেও অদ্যাবধি একটি পায়খানা ঘর আজও স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে আব্দুস সালাম নামে এক পথচারী অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন। সামনে ভরা মৌসুমে জলমগ্ন বৃষ্টির অজানা আতঙ্ক যেন পাটকেলঘাটাবাসীর মনে নাড়া দিচ্ছে। তাই আগামী দিনে যেন এমন জলমগ্ন বাজারের চেহারা না দেখতে হয় তার সুব্যবস্থা করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সচেতন পাটকেলঘাটাবাসী ও বাজার কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন পথচারী ও পাটকেলঘাটাবাসী।