দ্বিতীয় খুনি রিফাত ফরাজী গ্রেফতার
বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার এসপি মো. মরুফ হোসেন। তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত দুই অভিযুক্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- মামলার এজাহারভূক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা অভিযুক্ত তানভীর। সোমবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে স্বেচ্ছায় তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার নাজমুল হাসানকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে একই আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তার আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সাগর ও সাইমুন নামের অপর দুইজনের জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহ আলম গাজী জানান, ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবরে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বরগুনার চরকলোনি এলাকার আক্তারুজ্জামান নাসিরের ছেলে জিহাদ জামানের কাছ থেকে ল্যাপটপ ছিনতাই এর চেষ্টা করে এবং ল্যাপটপটি আছাড় মেরে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয় এবং জিহাদ জামানকে মারধর করে।
এরপর জিহাদের বাবা আক্তারুজ্জামান নাসির বাদী হয়ে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় আগের শুনানিগুলোতে নয়ন বন্ডের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আনিসুর রহমান মিলন ও রিফাত ফরাজীর পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোতালেব মিয়া। তবে এ শুনানিতে এদের কেউ আসামিদের পক্ষে দাঁড়াননি।
এ ঘটনায় নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ ১২জনের বিরুদ্ধে ২৭ জুন হত্যা মামলা দায়ের করেন রিফাত শরীফের বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ।