সাতক্ষীরার ভাগ্যকুলের মিষ্টির কারখানায় ঢুকতে গেলে লাগবে জেলা প্রশাসকের অনুমতি
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পঁচা চিনির সিরা দিয়ে তৈরি হচ্ছে সাতক্ষীরার ভাগ্যকুলের মিষ্টি শিরোনামে গতকাল বুধবার (২৬ জুন) সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য ছড়াচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক শিবুপদ ঘোষ। স্থানীয় অনেকে জানান, সংবাদ প্রকাশের পরেই গাত্রদাহ শুরু হয়েছে শিবুপদ ঘোষের।
তিনি বিভিন্ন মহল ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে তার পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।দৈনিক সাতক্ষীরা অনলাইন পোর্টালে নিউজ করার পর থেকে তারা এলাকায় প্রচার করছে একজন ব্যক্তি তাদের কাছে চাঁদা দাবী করেছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে টাকা না দেওয়ায় সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
https://www.youtube.com/watch?v=soLvTzY3zFI
স্থানীয় আরিফুল,রবিউল জানান,কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নোংরা পরিবেশে দীর্ঘদিন পাটকেলঘাটা বলফিল্ড মোড়ে অবস্থিত ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের কারখানায় তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। উল্লেখ্য কয়েক দিন ধরে রাখা চিনির সিরা ও নামমাত্র দুধ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের যাবতীয় মিষ্টি, রসমালাই ও দই যা দেখলে যে কারও ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে।
সরেজমিনে পাটকেলঘাটা বলফিল্ড মোড়ে অবস্থিত ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি তৈরির কারখানায় ঢুকতে গেলে দৈনিক সাতক্ষীরার প্রতিবেদককে বাঁধা প্রদান করেন কারখানা মালিক শিবুপদ ঘোষের ছেলে আশিক । তাছাড়া এ সময় সে বলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগে তাদের কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে। পরবর্তীতে ওই প্রতিবেদক ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেও ক্যামেরা বাহিরে রেখে যেতে হয়। কারখানার ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখা যায় দই তৈরির জন্য বহু আগে প্রস্তুতকৃত দুধের পসরা হাজার হাজার মৌমাছি ও মাছির দখলে। গন্ধযুক্ত ড্রামে মজুদ করে রাখা ছানা ও দুধে মাছির ভনভনানি। পাশের রুমের ভিতরে রাখা আছে ৩-৪ দিন আগের নষ্ট চিনির সিরা। ওই চিনির সিরা ব্যবহার করা হয় মিষ্টি তৈরির কাজে। তবে মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে বাঁধা প্রদান করেন সাথে থাকা ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক। তবে প্রতিবেদক গোপন ক্যামেরায় কারখানার নোংরা পরিবেশের কিছু ভিডিও ধারণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের কারখানায় প্রবেশ করতে গেলে তার অনুমতির কোন প্রয়োজন নেই। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কারখানায় মিষ্টি তৈরি হলে সাংবাদিকরা নির্বঘ্নে সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া ওই কারখানায় যদি নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি হয় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।