রণদা প্রসাদ সাহা হত্যার রায় আজ
মুক্তিযুদ্ধের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় বৃহস্পতিবার। বুধবার বিচারপতি মো. শাহিনূর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার একমাত্র আসামি একাত্তরে শান্তিরক্ষা কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়া পাড়ার আবদুল ওয়াদুদের ছেলে রাজাকার মাহবুবুর রহমান। মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক-নির্যাতন, হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ১৯ মাস ২৫ দিনের পর এ রায় হতে যাচ্ছে।
রণদা প্রসাদ সাহার পৈত্রিক নিবাস ছিলো টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা সাহা, তিনি নারায়নগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে থাকতেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭মে মধ্যরাতে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রায় ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে মির্জাপুর সাহাপাড়া রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে আকস্মিক অভিযান ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ সময় রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা, রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাহাল মতলবসহ সাতজনকে অপহরণ করে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। তাদের মরদেহ আর পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত শুরুর পর ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারি করা হলে ওই বছরের নভেম্বরেই মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
অবশেষে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর বিষয়টি রায়ের জন্য আসে। অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান গাজীপুরের কাশিমপুর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।