অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পঁচা চিনির সিরা দিয়ে তৈরি হচ্ছে সাতক্ষীরার ভাগ্যকুলের মিষ্টি
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সাতক্ষীরার অতি জনপ্রিয় ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি। কয়েক দিন ধরে রাখা চিনির সিরা ও নামমাত্র দুধ দিয়ে তৈরি হচ্ছে যাবতীয় মিষ্টি, রসমালাই ও দই যা দেখলে যে কারও ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে। পাটকেলঘাটা বলফিল্ড মোড়ে অবস্থিত ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি তৈরির কারখানায় ঢুকতে গেলে প্রতিবেদককে বাঁধা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগে তাদের কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে হলে এমনটাই বলেন মালিক শিবুপদ ঘোষ। পরবর্তীতে ওই প্রতিবেদক ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেও ক্যামেরা বাহিরে রেখে যেতে হয়। কারখানার ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখা যায় দই তৈরির জন্য বহু আগে প্রস্তুতকৃত দুধের পসরা হাজার হাজার মৌমাছি ও মাছির দখলে। গন্ধযুক্ত ড্রামে মজুদ করে রাখা ছানা ও দুধে মাছির ভনভনানি। পাশের রুমের ভিতরে রাখা আছে ৩-৪ দিন আগের নষ্ট চিনির সিরা। ওই চিনির সিরা ব্যবহার করা হয় মিষ্টি তৈরির কাজে। তবে মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে বাঁধা প্রদান করেন সাথে থাকা ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারখানায় কর্মরত একজন কর্মচারী বলেন,রাতের বেলা চার কেজি সন্দেশের সঙ্গে এক কেজি ময়দা মেশানো হয়। আর দিনের বেলা স্পেশাল সন্দেশ শুধু ছানা দিয়ে তৈরি করা হয়।
স্থানীয় আরিফুল,শামিম ও রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরার অধিকাংশ মানুষের খুব প্রিয় ভাগ্যকুলের মিষ্টি। কিন্তু নিজেদের চোখে মিষ্টি বানানোর দৃশ্য দেখলে কিনতে অরুচি হতে বাধ্য। সাতক্ষীরা সদর,কলারোয়া,পাটকেলঘাটাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানের পরিবেশ দেখলে বোঝা যায়না ওই মিষ্টি কতটা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হয়েছে।
স্থানীয় আরিফুল,শামিম ও রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরার অধিকাংশ মানুষের খুব প্রিয় ভাগ্যকুলের মিষ্টি। কিন্তু নিজেদের চোখে মিষ্টি বানানোর দৃশ্য দেখলে কিনতে অরুচি হতে বাধ্য। সাতক্ষীরা সদর,কলারোয়া,পাটকেলঘাটাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানের পরিবেশ দেখলে বোঝা যায়না ওই মিষ্টি কতটা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হয়েছে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরির কারণ জানতে চাইলে ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক শিবুপদ ঘোষ বলেন,অন্যদের চেয়ে তাদের কারখানায় হাজার গুণ পরিষ্কার পরিছন্ন পরিবেশ এবং ভাল পণ্য দিয়ে মিষ্টিসহ যাবতীয় সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে।
এবিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগতনন,তবে অতিদ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
Please follow and like us: