বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শত্রু কেন আলিম দার
বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই যেনো আলিম দারের ভুল সিদ্ধান্তের দায় দলকে বয়ে বেড়ানো। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচটা এখনো ভুলে যাননি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সেবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা বাংলাদেশ তার ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়ে ম্যাচ হেরেছিল। এবারো সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করতে যেনো প্রস্তুত হয়ে এসেছেন তিনি। এবার তার ভুল সিদ্ধান্তে আউট হলেন লিটন দাস।
বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু থেকে ভালোই খেলছিলেন লিটন। কিন্ত মুজিবের করা একটি বল ব্যাটে লেগে হালকা উঠে গেলে শর্ট কাভার থেকে ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ফিল্ড আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে। তাই ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি শহিদির হাত ছুয়ে মাটি স্পর্শ করেছে। অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরেও টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কিনা। এক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন!
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেটিজেনরা। ‘গোটা বিশ্ব দেখল এটা ড্রপ ক্যাচ অথচ থার্ড আম্পায়ার দেখলেন এটা আউট’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ উঠে আসছে এমন বক্তব্য।
আলিম দার বরাবরই বাংলাদেশি ক্রিকেট অনুরাগীদের নিকট একটি বিতর্কিত নাম। বাংলাদেশের বিপরীতে খেলায় তার বিচারকার্যে পক্ষপাত রয়েছে এটা পুরনো অভিযোগ- সেই অভিযোগের আরেকটি দৃষ্টান্ত দেখল দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিশ্বকাপ এলেই কেন বাংলাদেশের শত্রু হয়ে যান এই পাকিস্তানি আম্পায়ার তা সত্যিই গবেষণার বিষয়।
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই মহা বিতর্কিত কাণ্ডের পর এবারো বিশ্বকাপে আলিম দারের বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপের ৩১ তম ম্যাচে লিটন দাসকে থার্ড আম্পায়ারের মাধ্যমে যেভাবে আউট দেয়া হয়েছে, তা রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ম্যাচটির টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলিম দার।