২০০ টাকা ট্যাক্স নতুন ও হারানো সিমকার্ডে
মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ট্যাক্স ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেটে। আগে সিম কার্ডে ট্যাক্সের পরিমান ছিল ১০০ টাকা। এতদিন গ্রাহক বাড়ানোর স্বার্থে অপারেটরাই এই টাকা সরকারকে পরিশোধ করত।
কিন্তু এখন থেকে সিম কার্ডের ট্যাক্সের টাকা সিম কেনার সময় গ্রাহককেই দিতে হবে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানির নেতারা বলছেন, এমনিতেই অপারেটরগুলো ক্ষতির মুখে আছে। এতদিন গ্রাহকদের হয়ে সিম ট্যাক্সের ১০০ টাকা সরকারকে দিয়ে আসলেও ভবিষ্যতে আর দেয়া সম্ভব হবে না।
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) -এর অ্যাকটিং প্রেসিডেন্ট এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সিম কার্ডের উপর আরোপিত শুল্ক ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা।
আগে সিম কার্ডে শুল্ক ছিল ১০০ টাকা। যেটা এতদিন আমরা অপারেটরা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমরা আর এই সিম ট্যাক্সের ২০০ টাকা দিতে পারব না। এটা গ্রাহককেই দিতে হবে।’
মাহতাব উদ্দিন আহমেদ জানান, এখন থেকে গ্রাহকদের সিম কার্ড পরিবর্তন, নতুন করে সিম কার্ড উত্তোলন করতেও ২০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।
অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত নতুন শুল্ক নীতিমালা বর্তমান ও নতুন গ্রাহকদের ওপর নতুন করে অতিরিক্ত খরচের বোঝা বাড়াবে। নতুন সিম কার্ড ও প্রতিস্থাপনের উপর আরোপিত শুল্ক ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করায় নতুন গ্রাহকদের খরচের বোঝা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সিম কার্ডের উপর আরোপিত শুল্ক দ্বিগুণ করা ও অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক আরোপ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
দেশে এখন মোবাইল ফোনের সচল সিম রয়েছে প্রায় ১৬ কোটি। অর্থাৎ ১৬ কোটি মোবাইলের সিম ব্যবহারকারীর জন্য শুল্কবৃদ্ধিজনিত এ ব্যয় বাড়বে। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ৯ কোটি সিমে।
নতুন বাজেট ঘোষণার আগে মোবাইল ফোনে কথার বলার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১ শতাংশ সারচার্জসহ মোট ২২ শতাংশ কর ছিল। অর্থাৎ, কেউ মোবাইল ফোনে সিম বা রিম ব্যবহার করে ১০০ টাকার কথা বললে তাকে ২২ টাকা কর দিতে হতো সরকারকে। নতুন করে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় এখন ১০০ টাকায় কর দিতে হবে মোট ২৭ টাকা।
এর অর্থ হলো একশ টাকার কথা বলা বা বার্তা দেয়ার ব্যয় হলো ১২৭ টাকা যা আগে ছিল ১২২ টাকা এবং কোম্পানিগুলো এ অর্থ নিজেরা দেবে না – বরং তারা এ অর্থ সরকারকে দেবে গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়েই।