সাতক্ষীরায় পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার দেবহাটায় আদালত ও পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনু্ষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দেবহাটার কামটা এলাকার মৃত মোনাজাত আলী সরদারের ছেলে জাহিদ হাসানের পক্ষে তার স্ত্রী নাজমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে প্রবাস জীবন-যাপন করেছিলাম। সে সময় আমার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় তার কাছ থেকে ৩১৩ ও ৩১৪ এস এ দাগ হতে ০.৩৪ একর সম্পত্তি ক্রয় করি এবং ওয়ারেশ সূত্রে ০.১০ এক সম্পত্তি প্রাপ্ত হই। উক্ত দাগের ০.৬৮ একরের মধ্যে মোট ০.৪৪ একর সম্পত্তির বৈধ মালিক। উক্ত সম্পত্তিতে প্রায় ৪০টি বড় আম গাছ, নিম গাছ, মেহগনি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে প্রায় ৩ বছর যাবত একই এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে মাসুম, মাসুদ, মামুন, আফছার আলীর ছেলে আব্দুল্ল্যাহ, রিয়াজুল ইসলামের ছেলে সুমন গং এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত একমাস পূর্বে দেবহাটা থানা পুলিশের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ পূর্বক উভয়ের সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। সে অনুযায়ী আমরা বাঁশের চটা দিয়ে আমার ০.৪৪ একর সম্পত্তি ঘেরা বেড়া দেই। কিন্তু মাত্র এক মাস পর উল্লেখিত ব্যক্তিরা অবৈধ লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি গায়ের জোরে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে গত ৯মে‘ ১৯ তারিখে ওই সম্পত্তির ঘেরা বেড়া ভাংচুর শুরু করলে আমি এবং আমার স্ত্রী নাজমা প্রতিবাদ করতে গেলে একই এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে মাসুম, মাসুদ, মামুন, আফছার আলীর ছেলে আব্দুল্ল্যাহ, রিয়াজুল ইসলামের পুত্র সুমন, রিয়াজুলের স্ত্রী বেবি পারভীনসহ ১০/১৫ ব্যক্তি আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি সে সময় জীবনের ভয়ে পালিয়ে সাতক্ষীরায় চলে আসি। পরের দিন তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমিতে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে আমি দেবহাটায় থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিছু দিন কাজ বন্ধ রাখলেও গোপনে তারা থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে আবারো কাজ শুরু করে।
এঘটনায় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার বিধান মতে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনা পেয়ে দেবহাটা থানা পুলিশের এ এস আই আব্দুল জব্বার ১৭/০৬/২০১৯ তারিখে ১৪৫ ধারা জারি পূর্বক উভয় পক্ষে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পাওয়ার পর তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে তাদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। তারা আমাদের ফাঁকা স্থানে পেলে খুন জখম করতে পারে বলে আশংকা করছি। আদালত ও পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় মরিয়া। আমরা স্বামী- স্ত্রী অসহায় হয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও স্ত্রীর জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা কনের।