বাগেরহাটে সব দোকানেই অবাধে গ্যাসসিলিন্ডার, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
বাগেরহাটে ৯ উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাসসিলিন্ডার বিক্রি। মাননির্ণয় ছাড়াইএসব সিলিন্ডার গ্রামীণ জনপদের মানুষ ব্যবহার করছে।
কোনো প্রকার অনুমোদনছাড়াই এ ৯ উপজেলার ৭৫ ইউনিয়নেরপ্রায় সব হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাসসিলিন্ডার। শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চালানো হচ্ছে। এসব গ্যাসসিলিন্ডার থেকে যে কোনো সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনাঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানেজানাযায়, ৯ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, মুদি দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ফটোকপির দোকান, এমনকি ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাসসিলিন্ডার যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এসব দোকানে নেই কোনো আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিবাড়ছে প্রতিনিয়ত।
জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান এলপিগ্যাসবিক্রি করবে, তাদের বিক্রির স্থানসম্পূর্ণ সুরক্ষিত রেখেব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে হবে। গ্যাসবিক্রির স্থানে কমপক্ষে পাকা ফ্লোর সহ আধপাকা ঘর, অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে জ্বালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন।
অনুসন্ধানে আরোজানা গেছে, বর্তমান সময়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের উপজেলায় সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে একশ্রেণীর অসাধুব্যবসায়ী সিলেন্ডার নিজেদের মন গড়াভাবে যেখানে সেখানে সিলিন্ডারের বোতল ফেলে রেখেব্যবসাকরছে। হাতেগোনা দু-একজন ব্যবসায়ীছাড়া অন্য কারও নেই সুরক্ষাব্যবস্থা। এসব ব্যবসায়ী সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকিনিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বাড়তি লাভের আশায় দোকানের বাইরে ফুটপাতে রোদে ফেলে রাখা হয়েছে এসব সিলিন্ডার। রাস্তার কিনারে রাখা এসব সিলিন্ডারের পাশ ঘেঁষেই চলছে দ্রুতগামী যানবাহন। এ ছাড়া নকলসিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ, ওজনে কম সহবাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক গ্রাহক।
এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি)মেজবাহউদ্দীনজানান, অরক্ষিতভাবে অবাধে গ্যাসসিলিন্ডার বিক্রি বিষয়টি আমার অবগতনা । রমজান মাসে আমরা অভিযান চালিয়েছি এবং জরিমানা আদায়করা করেছি। যেসব দোকানে আবারও সনদ ছাড়াঅবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাসবিক্রি করছে সেগুলোকে খুব শিগগির মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব দোকানির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।