২০ বছর পড়ে থাকা হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে স্বেচ্ছাশ্রমে হরিশখাল খনন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে ৭লাখ ৮২ হাজার টাকায় সাড়ে ৩কিলো মিটার গোচমারার হরিশখাল খনন কাজ শুরু হয়েছে। গত ২০ বছর ধরে পড়ে থাকা হাজার হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে এবার উদ্যোগ নিলেন-কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল বাশার ও ইউপি সদস্য এরশাদ আলী। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার যুগিখালীর গোচমারা-হরিশখাল খননের কাজ শুরু করা হয়। এই খাল খননে এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমিতে এবার ধান চাষ করতে পারবেন চাষীরা।
এ বিষয়ে যুগিখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল বাশার জানান- ৭লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যায় হবে এই খাল খননে। সাড়ে ৩ কিলো মিটার লম্বা, ১৫ ফুট চওড়া, ৫ফুট গভীর করা হচ্ছে।
ইউপি সদস্য এরশাদ আলী জানান- ২০০০ সাল থেকে এই বিলে চাষীরা ধান চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছে। হরিশখালে পলী জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি জমে থাকে এই বিলে। যার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমিতে চাষীরা ধান চাষ করতে পারে না। এবার চাষীদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে যুগিখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল বাশার ও ইউপি সদস্য এরশাদ আলীর নেতৃত্বে ওই খাল খননের কাজ শুরু করা হয়েছে।
চাষী- আজিজুর রহমান, আবুল কাশেম, মোশাররফ হোসেন দফাদার, লেয়াকাত আলী ও রহমতুল্লাহ জানান-এবার তারা ডুবে থাকা জমিতে আমন ধান চাষ করবেন। এই খাল খননে এলাকার চাষীরা আনন্দমুখর হয়ে পড়েছে।