বাংলাদেশ দলে একাধিক পরিবর্তন, বাদ যাচ্ছেন যারা
টন্টনের ছোট মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে অপরিবর্তিত থাকা বাংলাদেশের দলে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন। স্পিনার কমিয়ে পেসার বাড়ানো হবে নাকি বাড়তি একজন ব্যাটসম্যানকে খেলানো হবে, সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা।
সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নামার আগে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে প্রথম তিন ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকা লিটন দাস ও রুবেল হোসেন পেলেন গুরুত্ব। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে তাদের খেলার সম্ভাবনা আছে অনেকটাই।
ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরিত্যক্ত ম্যাচের আগে গুঞ্জন ছিল মোহাম্মদ মিঠুন বাদ পড়তে যাচ্ছেন। সেটি দৃশ্যমান হতে পারে টন্টনে এসে। তার জায়গাতেই বিশ্বকাপে অভিষেক হতে পারে লিটনের।
টন্টনের উইকেট সহজাতভাবে ব্যাটিং সহায়ক হলেও বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচের জন্য যে ২২ গজ প্রস্তুত করা হয়েছে তাতে আছে সুবজ ঘাসের উপস্থিতি। তাতে বাড়তি একজন পেসার খেলালে নিশ্চিতভাবেই একাদশে চলে আসবেন রুবেল হোসেন।
রোববার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও রুবেল আলাদা করে বোলিংয়ের একটা সেশন করেছেন ব্যাটসম্যান-বিহীন উইকেটে। বাকি পেসাররা করেছেন ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল ছুঁড়ে।
একাদশ নির্বাচনে ভাবনায় রাখা হচ্ছে মাঠের আয়তনও। এমনও হতে পারে রুবেলকে দলে নিতে বাদ দেয়া হবে আরেক পেসারকে। অধিনায়ক মাশরাফী তো খেলবেনই। সাইফউদ্দিন খেলছেন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে।
কাঁধে চোট থাকায় বোলিং করতে পারছেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অভাব অবশ্য পুষিয়ে দিচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলের মূল অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর বাঁহাতি স্পিনে ভরসা সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিনত্রয়ী খেলেছেন প্রথম তিন ম্যাচই। স্পিনের মতো পেস আক্রমণেও ছিলেন যথারীতি তিনজন- মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাইডবেঞ্চে বসে আছেন রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটন দাস ও সাব্বির রহমান।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছেন আর উইকেট পাননি এমন অভিজ্ঞতা হয়নি মিরাজের। ৯ ম্যাচের ৯টিতেই পেয়েছেন শিকারের দেখা। এ অফস্পিনারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংও উইন্ডিজের বিপক্ষে। গেল ডিসেম্বরে সিলেটে ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। বাকি ৮ ম্যাচে পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
ক্যারিবীয়দের শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজন বাঁহাতি। অফস্পিনে তাদের দুর্বলতা ভালভাবেই কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার আস্থা তাই মিরাজের কাঁধেই।
মাশরাফী বলেন, আসলে মিরাজের সফলতার সুযোগ, ওদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই বাঁহাতি। ওদেরকে আক্রমণ করতে গেলে অফস্পিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে আর কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা ভাবা হচ্ছে। তারপরও আমরা যেভাবে সফল হয়েছি সেটাকেই ফোকাস করা উচিত বলে আমার মনে হয়।
বাংলাদেশ বরাবরই একাদশ চূড়ান্ত করে ইলেভেনথ আওয়ারে। টন্টনের ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হবে না। অনুশীলন সেরে টিম হোটেলে ফিরে গেছে দল। মিটিং করে চূড়ান্ত করা হবে একাদশ।