ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে ব্যাটে বলে সেরা যারা
ক্রিকেটে সবচেয়ে পুরনো দ্বৈরথের মধ্যে একটি ভারত-পাকিস্তান লড়াই। এই দুই দলের ম্যাচে গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকেনি এমন কখনও দেখা যায়নি। বহুল প্রতীক্ষিত সে লড়াই আজ (রোববার) আবারও। ম্যানচেস্টারে বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ছয়বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। অন্যান্য জায়গায় দাপট দেখাতে পারলেও বিশ্বকাপে ভারতের সামনে পড়লেই যেন ‘বাঘ থেকে বিড়াল’ হয়ে যায় পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে একবারও জয়ের দেখা পায়নি তারা।
বিশ্বকাপে ছয় বারের দেখায় দুই দলের এই লড়াইয়ে সেঞ্চুরি হয়েছে মাত্র দুটি। ২০০৩ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরির খাতা খুলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ার। পরের সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১২ বছর। ২০১৫ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই লড়াইয়ে সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় নাম লেখান।
সাঈদ আনোয়ার (২০০৩)
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ। সাঈদ আনোয়ারের ১০১ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ২৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল পাকিস্তান। ভারত তবু পাত্তা দেয়নি। শচিন টেন্ডুলকারের ৯৮ রানের ইনিংসে ২৬ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সৌরভ গাঙ্গুলির দল।
বিরাট কোহলি (২০১৫)
অ্যাডিলেডে গ্রুপপর্বের ম্যাচে বিরাট কোহলির ১০৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে সেঞ্চুরি দুটি হলেও পাঁচ উইকেটের ম্যাজিক ফিগারের সংখ্যা দেখা গেছে তিনবার। এর মধ্যে দুইবার পাকিস্তানি এবং একবার নিয়েছেন ভারতের বোলাররা।
ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (১৯৯৯)
১৯৯৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাহুল দ্রাবিড়ের ৬১ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনের ৫৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ২২৭ রান করে ভারত। সহজ এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতের বোলারদের তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদের কাছে। তার ২৭ রানে ৫ উইকেটের ম্যাজিক ফিগারের কারণেই পাকিস্তানকে ৪৭ রানে হারায় ভারত।
ওয়াহাব রিয়াজ (২০১১)
ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় ভারত। উত্তেজনায় ঠাসা সে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শচিন টেন্ডুলকারের ৮৫ রানের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ২৬০ করে ভারত। ম্যাচে ওয়াহাব রিয়াজের ৪৬ রানে ৫ উইকেটের কারণে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয় তারা। তবে এই রান তাড়া করতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। মিসবাহ উল হকের ৫৬ রানের ইনিংসের পরও ২৯ রানে হারে দলটি।
সোহেল খান (২০১৫)
২০১৫ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই একে অপরের মুখোমুখি হয়ে ভারত-পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ধোনির দল। এই ৭ উইকেটের ৫টিই উইকেট নেন পাকিস্তানি পেসার সোহেল খান। কিন্তু দলকে না জেতায় বৃথা যায় তার দুর্দান্ত বোলিং ফিগারটি।