ক্যারিবীয়ান ঝড় থামিয়ে ইংলিশদের জয়
বিশ্বকাপের ১৯তম ম্যাচে উইন্ডিজকে হারিয়ে সেমি ফাইনালের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল ইংলিশরা। উইন্ডিজের দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্য সহজেই ৮ উইকেটে পাড়ি দিয়ে এ জয় ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ড।
শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তার সে পরিকল্পনাকে সফলভাবে বাস্তবে রূপ দেন বোলাররা। ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের বেশি দুর এগুতে দেয়নি। মাত্র ২১২ রানেই আটকে ফেলে উইন্ডিজদের।
ব্যাট করতে নেমে কোটার পুরো ওভার খেলতে পারেনি উইন্ডিজ। ৪৪.৪ ওভার খেলতেই অল আউট হয়ে যায় জেসন হোল্ডারের দল। অল আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২১২ রান তুলতে পারে তারা।
শুরুতে ক্রিস ওকসের বলে এভিন লুইস ফেরেন ১ রান করে। ওকসের আউটসুইঙ্গারে বোল্ড হন তিনি। এরপর প্লাংকেটের বলে ৩৬ রান করা গেইল ফেরার পরেই উডের বলে ১১ রানে ফিরলেন শেই হোপ।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর পুরান আর হেটমেয়ার হাল ধরেন দলের। দুজনে দেখেশুনে কিছু সময় খেলার পর ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হওয়া শুরু করেন। তবে ৩৯ রানে জো রুটের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হেটমেয়ার। তারপর ৯ রান করে আউট হন হোল্ডার।
রাসেল এসে ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও থেমে যান ২১ রানে। ৬৩ করে পুরান আউট হওয়ার পর উইন্ডিজের চেষ্টা ছিল কোনভাবে পুরো ৫০ ওভার খেলা।
ব্র্যাথওয়েট ১৪ রানে ফিরলে সে আসাও জলে যায় উইন্ডিজের। শেষ ৩ ব্যাটসম্যানের কেউই আর রানের দেখা পাননি।
নিকোলাস পুরাণ ৬৩ রান করলেও আর কেউ তেমন অবদান রাখতে পারেনি উইন্ডিজ ইনিংসে। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেন দুই ইংলিশ পেসার মার্ক উড ও জোফরা আর্চার। দুজনেই নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া জো রুটও ২টি উইকেট নেন।
ফিল্ডিং এর সময় ইঞ্জুরিতে পড়ে জেসন রয় ও ইয়ন মরগান মাঠ ছেড়ে যান। জেসন রয় চোট পাওয়ায় বেয়ারস্টোর সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন জো রুট।
দুজনের জুটি জমে ওঠে শুরু থেকেই। রান তাড়া করায় ওভারপ্রতি ৪ রানের প্রয়োজন থাকলেও ৬ রান করে নিতে থাকেন দুজনে। তারা ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলেন ৬৩ রান।
দলীয় ৯৫ রানে গ্যাব্রিয়েলের বলে ৪৫ রান করে বেয়ারস্টো আউট হন। বেয়ারস্টোর আউটে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে নামেন ক্রিস ওকস। রুটের সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের হাতের মুঠোয় ম্যাচ এনে দেন ক্রিস ওকস। দলীয় ১৯৯ ও ব্যক্তিগত ৪০ রানে ফিরে যান ওকস। দল তখন জয় থেকে কয়েক হাত দূরে।
অপরপ্রান্তে রুট তুলে নেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। সঙ্গী বেন স্টোকস অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।
এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলো ইংল্যান্ড। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২য় স্থানে উঠে এসেছে মরগানের দল।
উইন্ডিজের জন্য অবশ্য সেমিফাইনালের সমীকরণ একটু কঠিন হলো। ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে জেসন হোল্ডারের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
উইন্ডিজ ২১২ (৪৪.৪)
পুরাণ ৬৩, হেটমেয়ার ৩৯
উড ১৮/৩, আর্চার ৩০/৩
ইংল্যান্ড ২১৩/২(৩৩.১)
জো রুট ১০০*, বেয়ারস্টো ৪৫
গ্যাব্রিয়েল ৪৯/২