বুধহাটা বাজারে চান্নির মুখ দখল নিয়ে অবৈধ ঘর নির্মাণ
আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুধহাটা বাজারে মিষ্টি চান্নিতে প্রবেশ পথ দখল নিয়ে সরকারি জমিতে অবৈধ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থায়ী পাকা ঘর নির্মাণ করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা শুরু করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরূপ আলোচনার পাশাপাশি অবৈধ দখলে উৎসাহ সৃষ্টি করছে।
বুধহাটা বাজারের নদীর সাইটে মৎস্য চান্নির পাশে মিষ্টি (গুড় ও পাটালী) চান্নি স্থাপিত। চান্নিটি নির্মাণের পরে চান্নিতে ক্রেতাদের যাতায়াতের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পথ রাখা ছিল। পূর্ব পাশে দেওয়াল উঠিয়ে দেওয়ায় সেদিক দিয়ে যাতায়াতের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু পরবর্তীতে দক্ষিণ পাশের বাহাদুরপুরের শংকর, জোড়দিয়ার সিরাজ ও বুধহাটার ইনছান সরদারের পুত্র তাহাজ্জেত দখলে নিয়ে অস্থায়ী ভাবে ব্যবসা শুরু করেন। তখন বাধ সাধলে তারা অস্থায়ীভাবে চট ফড়িয়ার মত বসে ব্যবসা করবেন, চান্নিতে যাতয়াতের পথ খুলে রাখবেন এবং প্রয়োজন হলে ব্যবসা গুটিয়ে সরকারি জায়গা ছেড়ে দেবেন বলে সকলকে আশস্থ করেন। কিন্তু না আস্তে আস্তে চান্নিতে যাতায়াতের পথ সংকুচিত করে পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। চট ফড়িয়ার পরিবর্তে বাঁশ খুটি পুতে গোলপাতার ছাউনি, খাটিয়া স্থাপন ও মোটামুটি শক্ত ঘাটি করে দখল মজবুত করা হয়।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের মধ্যে তাহাজ্জেত তার দখলকৃত স্থানে ইট দিয়ে ভীত ও দেওয়াল গেথে টিনসেড ছাউনি দিয়ে পাকাপোক্ত দখল নিয়েছেন। ফলে বাকীরা একই কায়দায় দখল পাকাপোক্ত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চান্নিসেড নির্মান করলেও সেটি ব্যবহারের পথ সংকুচিত করতে করতে এখন ব্যবহার অনুপযোগি হতে চলেছে। এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া আক্তারের সাথে মোবাইল কথা বললে সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, অবৈধ দখল ও ঘর নির্মানের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।