বুধহাটায় শশুর বাড়িতে ঈদ করানোর চক্রান্তে আহত জামাইয়ের সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় শশুর বাড়িতে জামাই-মেয়েদের ঈদ করানোর চক্রান্তে অন্যদের হাতে গুরুতর আহত জামাই আবুল খায়ের সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বিকালে বুধহাটা মালেক মার্কেটে এ সংবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধহাটা গ্রামের মরহুম মাওঃ মিয়ারাজ আলির পুত্র আবুল খায়েরের সাথে ২০০১ সালে পদ্ম বেউলা গ্রামের আঃ গফুর মাষ্টারের কন্যা আমেনা খাতুনের বিয়ে হয়। তার অপর দু’ ভায়রা ভাই আঃ কাদের ও আঃ সামাদ বিয়ের পর হতে নিজেদের বাড়িতে ঈদ না করে শশুর বাড়িতে ঈদ করে আসছেন। শশুর-শাশুড়ি.-শ্যালকদের কুট কৌশলে তারা নিজেদের মা-বাবার সাথে ঈদ-কুরবানী না করে প্রতি বছর শশুরালয়ে ঈদ নিয়ে মজে থাকেন। তার বিয়ের পর বড়দের অনুস্মরণ করে তার স্ত্রী আমেনাও পিতার বাড়িতে ঈদ-কুরবানি করায় ঝুঁকে পড়ে। তার অর্থকড়ি নিয়ে নিজের বাড়িতে ঈদ না করে শশুর বাড়িতে ঈদ-কুরবানি করার ঘটনা তাকে যেমন কুরে কুরে খাচ্ছিল, তেমনি পরিবার ও প্রতিবেশী, শশুরবাড়ির পাশের লোকজনদের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিলেন। কিন্তু প্রতিরোধ কিংবা ভিন্ন কিছু করাতে তিনি সক্ষম হচ্ছিলেন না।
এবছরও তার স্ত্রী আমেনা তার সাথে ঢাকা থেকে ফিরলেও সে (স্ত্রী) শশুর বাড়িতে গিয়ে ওঠে। তার দুলাভাইদের কু-পরামর্শে তার ঘর নির্মানের জন্য তিলে তিলে জমানো ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিজের কাছে নিয়ে পিত্রালয়ে গিয়ে ওঠে। এভাবে বিগত ১৬ বছর তিনি পারিবারিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। ঈদ অনুষ্ঠানে সে বাড়িতে আসেনি এবং তাদের দু’পুত্রদেরওে বাড়িতে আসতে দেইনি। শুক্রবার তার ভাইরা আঃ সামাদের সাথে সে ও পুত্ররা বুধহাটা বাজার দিয়ে যাচ্ছিল।
এসময় তিনি (খায়ের) তার ছোট পুত্রর হাত ধরে নিজের কাছে নিতে গেলে ভাইরা ভাই, দুই শ্যালক আরিফ, গাদ্দাফী ও শশুর তার উপর আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে তার পুত্রকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়। তার স্ত্রী ও সন্তানরা তার সাথে যাবে যা পারিস করে নিস বলে ভায়রা হুমকি ধামকী দিয়ে চলে যায়। আহত খায়েরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত কুরবানির ঈদেও তার স্ত্রী ২৮ হাজার টাকা নিয়ে পিত্রালয়ে গিয়ে সেখানে কুরবানি দিয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজওয়ান আলিকে জানান হয়েছিল। তার শশুর একজন জামাত ক্যাডার। দু’বার জেলও খেটেছেন। তার স্ত্রী আমেনা পিত্রালয়ে ঈদ করে থাকে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শীষ মোহাম্মদ জেরী।