শখের কোয়েলে সফলতার মুখ দেখছেন কিশোর আসিফ

ছোটবেলা থেকেই কোয়েল পোষার শখ ছিল সাতক্ষীরার বাকাল সরদার পাড়া গ্রামের আসিফের ।

বাবার মুখ দেখিনি আসিফ। পরিবারের অভাব ঘোচাতে মা ও কাজের সন্ধানে চলেগেছে সৈাদি আরব। বাড়িতে একা থাকেন আসিফ।

খুব ছোট থাকতে কোয়েল খামার করার শখ ছিলো তার , ২০১৬ তে প্রথম কোয়েলের বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু না জানার ফলে শুরুতেই অধিক অংশ পাখি মারা যায়।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বড় বাজারের কোয়েল ডিম বিক্রেতার পরামর্শে আবারও ১ হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে আনেন। দেড়মাস পরে ৪০০ টির মত পুরুষ পাখি ভাল দামে বিক্রয় করেন। শীতের কারণে কিছু পাখি মারাগেলেও এখন ৫০০ কোয়েল পাখি রয়েছে তার খামারে।

প্রতিদিন ডিম পাচ্ছে ৪০০ টির ও বেশি । সেখান থেকে প্রতি মাসে আয় হওয়াই উৎসাহ আরও বেড়েছে তার । এভাবে ব্যস্ততার মধ্যেই খুঁজে পাই একধরনের প্রশান্তি। আগামীতে বড় খামার করার স্বপ্নআছে বলে জানান । বর্তমানে ৭ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করছে আসিফ। বাড়িতে একাই থাকেন বাবা খোজ খবর না রাখলেও মা রাখছে বলে জানান তিনি।

আরও বলেন, ‘আমাকে দেখে ইতিমধ্যে এলাকার অনেক এস এস সি পরিক্ষার্থী এখন আমার সাথে যোগাযোগ করছে খামার করার জন্য।

সুলতান পুর বড় বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, মুরগির চেয়ে কোয়েলের ডিমে লাভ বেশি। আসিফের কাছ থেকে প্রতিদিন ১টাকা ৭০ পয়সা দরে ৪০০ টির ও বেশি ডিম কিনে থাকি। এ ডিমের চাহিদাও বেশি।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা এটি। এর মাংস, ডিম খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। রোগীর পথ্য। ডিম ও মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সম্প্রতি ইউটিউবের জনপ্রিয় কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান কৃষি ও কৃষকের গল্পে আসিফের কোয়েল খামার নিয়ে একটি প্রতিবেদ প্রকাশ পাওয়াতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে তার খামারে লোকজন আসছে খামার দেখার জন্য,জানতে চান কোয়েল পোষার নিয়ম কানুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)