বাসায় রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন চিকিৎসক

নরসিংদী সদরে এক কিশোরীকে লেখাপড়া করানোর কথা বলে বাসায় রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার সকালে এক চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ওই কিশোরী মা।

অভিযুক্ত জুলফিকার আলী গাজীপুরের মনিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে নরসিংদী সদরের সোনিয়া নিটওয়্যার মিলসের শ্রমিকদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী ময়মনসিংহের পাগলা থানার গোয়ালবড় গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী বলেন, আমি ২০১৮ সালে ময়মনসিংহের শহীদ নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করি। দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া আমি লিভার রোগে ভুগছিলাম। চিকিৎসার জন্য মা এই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সবকিছু জেনে ডাক্তার আমাকে নার্সিং কলেজে ফ্রিতে ভর্তি করার প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে তার বাসার কাজকর্ম করে দেয়ার কথা বলেন। মাও তাকে বিশ্বাস করে আমাকে এখানে পাঠাল। এখানে আসার পর ডাক্তারের রূপ পাল্টে যায়। তিনি আমাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। রাজি না হলে ভয়ভীতি দেখাতেন। পরে বাড়িওয়ালাকে সব কিছু জানাই।

নরসিংদী সদর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, দুই মাস আগে দক্ষিণ শীলমান্দীতে একটি বাসা ভাড়া নেন জুলফিকার আলী। ওই সময় ভাগনি পরিচয়ে ওই কিশোরীকে বাসায় তোলেন তিনি। এরপর থেকেই তাকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করছিলেন। জুলফিকার ও ওই কিশোরীর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের ওপর নজর রাখেন বাড়ির মালিক। এক পর্যায়ে মেয়েটি তাকে সব জানায়। পরে জুলফিকার আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেন বাড়ির মালিক।

ওসি সৈয়দুজ্জামান আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে ধর্ষক জুলফিকার আলীকে আটক করা হয়। ওই কিশোরীর মা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)