কুল্যায় গাছ কাটায় বাধা দেওয়ায় ৩ জনকে পিটিয়ে জখম
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে সাংবাদিকসহ ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এব্যাপারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ও দুপুরে দু’দফা আক্রমনের ঘটনা ঘটে।
লিখিত এজাহারে প্রকাশ, কুল্যা গ্রামের শেখ শামসুর রহমান তাদের ভিটেবাড়িতে যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরবাড়ি বেঁধে সীমানা ঘেরাবেড়া দিয়ে সুসংরক্ষিত ভাবে বসবাস করে আসছেন। একই গ্রামের দুর্দান্ত, সন্ত্রাসী, নাশকতা সৃষ্টিকারী, জামাত শিবির ও বিএনপি ক্যাডার ইদ্রিস আলির ছেলে রুবেল, সবুর সরদারের ছেলে সুমন, আলী মুনছুর সরদারের ছেলে সেলিম, পুত্র ইদ্রিস, মৃত মোহর আলি সরদারের পুত্র সবুর ও আলী মুনছুরসহ আরও ৯/১০ জন জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তাদেরকে জব্দ করতে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শুক্রবার (৩১ মে) সকালে তারা প্রথমে তাদের বাড়ির সীমানার মধ্যে একটি গাছ জোর পূর্বক কাটতে থাকে। বাড়ির লোকজন বাধা দিলে তারা শেষ পর্যন্ত চলে গেলেও পূর্ব প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা মোতাবেক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুপুর ২ টার দিকে পুনরায় তারা তাদের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে শামসুর রহমানের ছেলে ফেরদৌসকে অস্ত্রশস্ত্র ও আধলা ইটদিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও সর্ব শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে সাংবাদিক এসকে হাসান ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে ল্যাপটপ, ক্যামেরা মোবাইল ফোন এবং দু’জনের পকেটে থাকা ব্যবসায়িক নগদ ৮৭ হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নেয়। মালামালের মূল্য অনুমান ৬৫ হাজার টাকা। তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় গামছা দিয়ে শাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় তাদের বোন ও অন্যরা এগিয়ে গেলে বেআব্রু ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। ফেরদৌস জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত্যু ভেবে এনিয়ে আইন আদালত করলে মজা দেখিয়ে দেবে বলে হমকী ও আস্ফালন করে তারা কেটে পড়ে। স্বাক্ষীরা গুরুতর জখমী অবস্থায় ফেরদৌসকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসানকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে এসকে হাসান বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এসআই বিজন কুমার ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।