ভুল ইনজেকশন দেয়ার ঘটনায় দুই নার্স দোষী
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ভুল ইনজেকশন দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপতালের দুই নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এছাড়া ডা. তপন কুমার মণ্ডলকে কাজে আরো সচেতন হবার জন্য বলা হয়েছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রোববার তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
তিনি প্রতিবেদনের বরাতে জানান, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভিন ও কুহেলিকার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর শরীরে ভুল ইনজেকশন পুশ করার সত্যতা মিলেছে। এছাড়া সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তপন কুমার মণ্ডলকে ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সেবা অধিদফতরের মহা-পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এ সময় তাকে ভুল ইনজেকশন দেওয়া হলে তার জীবন বিপন্ন হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। বুধবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় ২১ মে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
মুন্নীর বড় ভাই রুবেল হোসেন চিকিৎসকের বরাতে বলেন, এখনো মুন্নীর জ্ঞান ফেরেনি। তার অবস্থা খুবই খাপার। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের বাইরে নেওয়াও এ মুহূর্তে সম্ভব না।
এ ব্যাপারে গত বুধবার গোপালগঞ্জ থানায় শিক্ষার্থীর চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে তপন কুমার মণ্ডল, নার্স শাহনাজ পারভিন ও কুহেলিকাকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী। মামলা তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।