ধানদিয়ায় মৎস্য ঘেরের জমি নিজেদের নামে ডিড করে নিতে মালিকদের হুমকি
সাতক্ষীরার ধানদিয়ার চৌরাস্তার দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মৎস্য ঘেরের জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজেদের নামে জমি ডিড করে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে হত্যা মামলাসহ ডজনখানেক মামলার আসামী ধানদিয়ার কাটাখালী গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে শাহীন শেখ ও ধানদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন(দিলু)’র বিরুদ্ধে। এদিকে ওই মৎস্য ঘেরকে কেন্দ্র করে পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রেজাউল করিম ও তার সমর্থিত কৃষক এবং শাহীন শেখ ও রুহুল আমীন ও তার সমর্থিত কৃষকদের মধ্যে দুই গ্রুপে যে কোন সময় সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে অসংখ্য করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে রেজাউল করিম বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রায় ২০০ জন জমির মালিকের কাছ থেকে বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হারি(বর্গা) হিসেবে ডিড করে ঘের করা শুরু করি। ৫ বছরের ডিডের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০শে মে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ধানদিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান চঞ্চল হত্যা মামলাসহ প্রায় এক ডজন নাশকতা ও সহিংসতা মামলার আসামী ধানদিয়ার কাটাখালী গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে শাহীন শেখ ও ধানদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন(দিলু)’র সাথে গোপনে আঁতাত করে ২০০ জনের মধ্যে কয়েকজন কৃষক ও জমির মালিককে বেশি টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ কৃষক ও জমির মালিকদেরকে হুমকি দিয়ে ডিডে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করছে। যদি কোন জমির মালিক টাকা নিতে অস্বীকার করে তাহলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে শাহীন শেখ ও রুহুল আমীন। তাছাড়া এদের মধ্যে কেউ কেউ টাকা নিতে না চাইলে রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে যেয়ে হুমকি দিয়ে হারির টাকা বাড়িতে রেখে আসছে তারা।
এ ব্যাপারে ওই ঘেরের অভ্যন্তরে জমি আছে এমন কয়েকজন কৃষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, রেজাউল ইসলামের কাছে জমি হারি দেওয়ার পর হতে এখন পর্যন্ত টাকার জন্য আমাদের কোন ভোগান্তীর শিকার হতে হয় নি। ওই ঘেরে যাদের জমি নেই মাছের সময় তারা গেলে তাদেরকে মাছ দেন রেজাউল ভাই। সম্প্রতি আমাদের কিছু জমির মালিককে ডিড করে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে শাহীন ও রুহুল আমীন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহীন শেখ বলেন, কৃষকদের ঠিকমতো টাকা না দেওয়ায় কৃষকেরা রেজাউলকে জমি না দিয়ে আমাদেরকে জমি হারি দিচ্ছে। এছাড়া আমরা কোন কৃষককে আমরা হুমকি দিচ্ছি না।