রোজায় ইসবগুলের ভুসি খেলে যা হয়

ইসুবগুলের ভুসি প্রায় প্রতি ঘরেই থাকে। সারাদিন রোজা রাখার পরে ইফতারে এর কদর থাকে চোখে পড়ার মতো। অন্যান্য শরবতের পাশাপাশি ইসবগুলের ভুসি ভেজানো শরবতও থাকে ইফতারের টেবিলে। এর অবশ্য অনেকগুলো কারণও রয়েছে।

ইসুবগুলের ভুসির রয়েছে বেশ স্বাস্থ্য উপকারিতা। হজমসহ পেটের নানা সমস্যা থেকে বাঁচতে ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন রোজাদারেরা। তবে শুধু রোজার সময়টাতেই নয়, ইসুবগুলের ভুসি খান সারা বছর ধরে। এতে পেটের যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন-

কোষ্ঠবদ্ধতা পাইলসের প্রধান কারণ। তাই পাইলসের রোগীদের নিত্যদিনের ওষুধ এই ইসবগুল। প্রতি রাতে পানিতে পরিমাণমতো ইসবগুলের ভুসি দিয়ে খেয়ে শুতে যাওয়া অভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যায়।

Vusi

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল নিয়ে এক কাপ ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে তাতে দু-তিন চামচ চিনি মিশিয়ে সেহরিতে বাসিপেটে খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ডায়রিয়া উপশমে বেশ উপকারে আসে ইসুবগুল ভুসি। এজন্য ৭-২০ গ্রাম ভুসি দিনে দুইবার খাওয়া যেতে পারে।

যেকোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া হলে দিনে দুইবার এক গ্লাস শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া চলে যায়।

Vusi

যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। ইসবগুল আমাশয়ের জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে না, তবে বের করে দিতে পারবে। আমাশয়ের রোগীরা সেহরি ও ইফতারে একবার শরবতের সাথে খাবেন।

কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসুবগুলের ভুসি খান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।

যেকোনো কারণে মাথা ঘোরানো রোগ হলে বা হাত- পা জ্বালাপোড়া হলে এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)