নাটোরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
একটি সন্তানের মা হওয়ার ব্যাকুলতা পেয়ে বসেছিল এ গৃহবধূকে। ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি কত রকমের পানিপড়া ও ঝাড়ফুঁক নিয়েছেন তিনি, তার ইয়ত্তা নেই। অবশেষে বিয়ের ১১ বছরের মাথায় এসে সবাইকে চমকে দিয়েছেন শাহিদা বেগম। একসঙ্গে জন্ম দিয়েছেন চার সন্তানের। প্রথম তিনটি মেয়ে এবং শেষটি ছেলে।
শনিবার দুপুরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চার সন্তানের জন্ম দেন শাহিদা। তিনি সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউপির ভাগনারকান্দি গ্রামের মিলন মিয়ার স্ত্রী। স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় শাহিদা-মিলন দম্পতির পরিবার, আত্মীয়স্ব্বজন সবাই খুশি। একসঙ্গে চার সন্তানের খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী-পুরুষ হাসপাতালে ভিড় জমান নবজাতকদের একনজর দেখার জন্য।
শাহিদার পরিবার জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে মিলন ও শাহিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সন্তান জন্ম দিতে না পারায় অনেকেরই নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে শাহিদাকে। তাই একটি সন্তানের মা হওয়ার ব্যাকুলতা পেয়ে বসেছিল এ গৃহবধূকে। ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি কত রকমের পানিপড়া ও ঝাড়ফুঁক নিয়েছেন তিনি, তার ইয়ত্তা নেই। অবশেষে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হন শাহিদা। তবে তা কোন চিকিৎসার কারণে সেটি বলতে পারছেন না তিনি। একসময় শরীরের অবয়ব দেখে গর্ভে সন্তান ধারণের বিষয় নিশ্চিত হন তিনি।
শনিবার সকালে প্রসব বেদনা শুরু হলে নেয়া হয় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে। সেখানেই স্ব্বাভাবিকভাবে একে একে চার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় শাহিদার।
শাহিদার স্বামী মিলন জানান, সকালে তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ফজলুল কাদিরের তত্ত্বাবধানে শাহিদা একে একে চার সন্তানের জন্ম দেন। পরে ভূমিষ্ঠ চার সন্তান ও প্রসূতি মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফজলুল কাদির জানান, মা ও নবজাতকরা ভালো আছে। একসঙ্গে চার সন্তান হওয়ার কারণে তাদের কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, শাহিদা বেগম শনিবার দুপুর ১টা ৪৬ মিনিটের সময় প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গাইনি ওয়ার্ডে নেয়ার পরপরই দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের সময় প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। এরপর একে একে আরো তিন সন্তানের জন্ম হয়। পরপর তিন কন্যা সন্তানের পর শেষে ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।