আশাশুনিতে ভুল চিকিৎসায় ভ্যান চালকের হাত যায় যায়
আশাশুনিতে এক গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ভ্যান চালকের হাতের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক নিজের ত্রুটি ঢাকতে ভাল ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার খরচ বহনের ওয়াদা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বালিয়াপুর গ্রামে।
বালিয়াপুর গ্রামের মৃত ছদর উদ্দিন গাজীর পুত্র মইনুরের হাতে টেংরা মাছের কাটা বিধলে যন্ত্রণাকাতর হয়ে বাটরা বাজারে যায়। সেখানে জনারেল প্রাক্টিশনার, আরএমপি ডিগ্রীধারী এবং হাড়জোড়া, বাত, ব্যথা, জয়েন্ট ও মেডিসিন রোগী চিকিৎসক সাইনবোর্ড ধারী গ্রাম ডাঃ মোঃ আক্তারুল ইসলাম তাকে তার চেম্বারে ডেকে নেন। ১৪/১২/১৮ তাং তিনি প্রেসক্রিপশন করে দেন এবং রোগীর হাতের কবজির জয়েন্টে একসাথে পর পর ৩টি ইনজেকশন পুষ করেন। টাকা নেন ৭০০ টাকা।
অসহায় ভ্যান চালক মইনুর হাতের কোন উপকার না পেয়ে তার কাছে আরও দু’দিন চিকিৎসা নিতে গেলে কেবল ঔষধ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। কোন উপকার না পেয়ে অবশেষে মইনুর ২২/২/১৯ তাং অধ্যাপক ডাঃ ইব্রাহিম খলিলের কাছে গেলে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। চিকিৎসা খরচ যোগাড় করতে মইনুর তার একমাত্র আয়ের সম্বল যন্ত্রচালিত ভ্যান গাড়িটি ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে বাধ্য হন। তিনি চিকিৎসা খরচ যোগাতে সর্বস্ব খুইয়ে বসলেও জয়েন্টে ইনজেকশনের কারণে হাত নিয়ে চরম বিপদে রয়েছেন।
এব্যাপারে শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে গ্রাম ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে ভুল চিকিৎসার কথা বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সকল চিকিৎসা খরচ বহনের ওয়াদা করলেও বাস্তবায়ন না করে বাটরা থেকে চেম্বার গুটিয়ে নিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে শ্রীউলা ইউনিয়নে নাকতাড়া কালীবাড়ির কাছে ডাক্তারের নতুন চেম্বারে মইনুর উপস্থিত হলেও ডাক্তার তাদের আগমন বুঝতে পেরে কেটে পড়েন। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের শরণাপন্ন হলে চেয়ারম্যান ডাক্তারের মোবাইলে রিং করে সন্ধ্যার মধ্যে তার সাথে দেখা করার জন্য নির্দেশ দিলে তিনি সেখানে আসবেন বলে জানান। হাতের কব্জি হতে কাটতে হতে পারে এমন আশঙ্খায় ভুগছেন মইনুর।
হাতের শেষ পরিণতি কি হবে তা নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন মইনুর। তার হাত ভাল না হলে খেটে খাওয়া মানুষটির পরিবার পথে বসতে পারে। এব্যাপারে জন প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।