গণতন্ত্র বিকাশে গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখছে: স্পিকার
বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র বিকাশে এরা কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করলে তিনি তাদের এ কথা বলেন।
এ সময় তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সরকারের জবাবদিহিতা, মানবাধিকার কমিশনের বিদ্যমান আইন ও কার্যাবলী এবং গণতন্ত্রের বিকাশে সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন এবং কমিশনের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আলোকপাত করেন মিয়া সেপ্পো। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমূহে মানবাধিকার কমিশন যে সব আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়েতে দৃষ্টি দেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মিয়া সেপ্পো।
এ বিষয়ে একমত পোষণ করে স্পিকার বলেন, মানবাধিকার কমিশনের আইন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আইন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন মর্মে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী। গণতন্ত্রের বিকাশে এরা কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।