দুর্গাপুরে ধর্ষণ মামলার আসামির আত্মসমর্পণ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গৃহকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
কিশোরী গৃহকর্মী একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হলেই স্থানীয়ভাবে ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করে মোস্তাফা। শিশুর বাবার স্বীকৃতি না পেয়ে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ধর্ষক মোস্তফা। ধর্ষক মোস্তাফার কোনো খোঁজ না পেয়ে গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজগ্রাম থেকে মোস্তফার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মর্জিনা খাতুন, মা রাবিয়া খাতুন ও বোনজামাই দিলোয়ার হোসেনকে আটক করে থানা পুলিশ।
আটকের বিষয়টি জানতে পেরে পলাতক থাকা ধর্ষক মোস্তাফা ঐদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গৃহকর্মী কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে মোস্তফা। ওই কিশোরী বর্তমানে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শিশুর বাবার স্বীকৃতি দিতে চাইলে সে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। অবশেষে কিশোরীর বাবা গত ২২ এপ্রিল দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পরের দিন মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো.মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষক মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।