সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাতক্ষীরা পৌর কাউন্সিলর কালুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে যেয়ে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাতক্ষীরা পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গির হোসেন কালুসহ স্থানীয় আ’লীগ ও ইটাগাছা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সূত্র জানায়, শহরের খড়িবিলা এলাকায় বিল আবাদানীর ৩’শ বিঘা জমি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন ও সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। ৩’শ বিঘা জমি উদ্ধার করে জেলা প্রশাসনের সাইনবোর্ড,লাল পতাকা উত্তোলন করে। সেই থেকে আজ অবধি জমি সরকারের দখলে আছে। আর এই জমি সরকারি দখল নিশ্চিত করতে তৎকালিন দুই জেলা প্রশাসক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আ’লীগ নেতা শেখ জাহাঙ্গির হোসেন কালুকে মৌখিক দায়িত্ব প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর কালু সর্বদা চেষ্টা করেন যেন এই জমি ভূমিদস্যুদের কবলে না পড়ে। এখান থেকেই শুরু হয় কাউন্সিলর কালু ও তার লোক জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র। পূর্বের দখলবাজদের হুমকি,ধামকি, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে নাজেহাল তারা।
এব্যাপারে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গির হোসেন কালু জানান, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে যেয়ে আমি ও আমার লোক জন নাকাল হয়ে পড়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা করা হচ্ছে। আর তার একটাই কারন ভূমি দস্যু ইমান আলী গংদের নিকট থেকে সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে প্রশাসনকে আমি ও আমার এলাকার সচেতন মানুষেরা সহযোগিতা করেছিলাম যার বলি হচ্ছি এখন আমরা। মিথ্যা অভিযোগের তদন্তের শেষে প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ সবাই বুঝতে পারে কি জন্য, কে বা কারা অভিযোগ করছে। অনেক অভিযোগের তো বাদীকে খুজে পাওয়া যায় না। তার পরেও আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এব্যাপারে সদর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব কান্তি লাল জানান, শহরের খড়িবিলার ৩’শ বিঘা জমি সরকারি খাস খতিয়ানের জমি। সরকারের নামে রেকর্ড ও সরকারের দখলে আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কিছু মানুষ বরাবরই সরকারের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই জমি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের দাবী ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।