৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগের ‘বিতর্কিত’ কমিটি ভেঙে না দিলে গণপদত্যাগ
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘বিতর্কিত’ এই কমিটি ভেঙে না দিলে বিক্ষোভ, অনশনসহ গণপদত্যাগ করবেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন ছাত্রলীগের ঢাবি শামসুন্নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী।
রোকেয়া হলের সভাপতি লিপি আক্তার বলেন, তদন্ত কমিটি মানি না। যারা হামলা করেছে তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শোভন-রাব্বানীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আবার তারা হামলাকারীদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যদি বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে সঠিক তথ্য যায় তাহলে তিনি বিতর্কিত এ কমিটি ভেঙে দেবেন।
জসীম উদ্দিন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বলেন, আমরা কোনো আওয়ামী লীগ নেতার আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে চাই না আর। ডাকসু নির্বাচনের আগেও তারা আমাদের বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু তারা তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে তিনি যে নির্দেশনা দেবেন আমরা তা মেনে নেব অন্য কোনো নেতার নয়।
উল্লেখ্য, সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের এক বছর পর সোমবার ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।
পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এক পর্যায়ে পদবঞ্চিতদের পেটান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নারী নেত্রীসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।